স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৯ জানুয়ারি: জোসেফের বিধ্বংসী এক স্পেলেই ব্রিজবেনে রোববার অস্ট্রেলিয়াকে ৮ রানে হারিয়ে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রায় ২১ বছর পর টেস্ট জিততে পারল তারা। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে তাদের জয়খরা ছিল প্রায় ২৭ বছরের।এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলটিকে বলা হচ্ছিল, অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়া স্মরণকালের সবচেয়ে দুর্বল ক্যারিবিয়ান দল। সেই দলের কাছে পরাজয় বিব্রতকরই হওয়ার কথা। অধিনায়ক হিসেবে দেশের মাঠে কামিন্সের প্রথম পরাজয়ও এটিই।সব মিলিয়ে হারের যন্ত্রণা ঠিকই অনুভব করছেন তিনি। তবে তিনি তো স্রেফ অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক বা একজন ক্রিকেটারই নন, ক্রিকেট খেলাটির একজন ভক্ত-সমর্থকও। সেই বৃহত্তর ছবিটাই কামিন্সের চোখে ভেসে উঠছে আরও ভালোভাবে। ম্যাচ শেষে তার প্রতিক্রিয়ায় ফুটে উঠল, খেলাটির দারুণ এক দূতও তিনি।“হ্যাঁ, অনুভব করা যাচ্ছে (ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের তাৎপর্য)… এটা অবশ্য খুব একটা জরুরি নয় আমাদের জন্য, কারণ হারের যন্ত্রণা এখনও দগদগে। তবে ওরা আমাদেরকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে, দারুণ খেলেছে। আমি জানি, এখন অনেক আলোচনা হবে যে, ওদের কতজন অভিষিক্ত ক্রিকেটার ছিল, কত জন আগে কখনোই এখানে সফর করেনি, এরকম নানা কিছু। কিন্তু যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আমরা খেলতে নামি, কাজটা সবসময়ই কঠিন।”
“ওরা অসাধারণ খেলেছে। কয়েকজন তারকা তারা তৈরি করে ফেলেছে, যাদের সম্পর্কে সিরিজ শুরুর আগে আমাদের ধারণা ছিল না। ক্রিকেট সমর্থক হিসেবে, টেস্ট ম্যাচ ক্রিকেটের ভক্ত হিসেবে আমার হৃদয়ের একটা অংশ এসব দেখে দারুণ খুশি।”অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্স, বিশেষ করে ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়গা আছে অনেক। তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের সিদ্ধান্ত নিয়ে। ৯ উইকেট পড়ার পর ইনিংস ঘোষণা করে দেন কামিন্স। তার দল তখনও ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ২২ রানে পিছিয়ে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি তারা হেরেছে ৮ রানে। ওই ইনিংস ঘোষণা নিয়ে তাই আঙুল তোলাই যায়।তবে কামিন্স নিজের সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তিতেই অটল। রাতের বেলায় শেষ কয়েক ওভারের ফায়দা নিতেই অমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।“আমার মনে হয়েছিল, গোটা দুই উইকেট নেওয়ার উপযুক্ত সময় তখনই। রাতে ওই সময়টাতে আমরা কিন্তু ঠিকই দুটি সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিলাম। আমার তো মনে হয়েছে, ওই সিদ্ধান্ত কাজেই লেগেছে।”