Friday, February 7, 2025
বাড়িখেলাহলান্ড-এমবাপেকে হারিয়ে ফের ফিফা বর্ষসেরা মেসি

হলান্ড-এমবাপেকে হারিয়ে ফের ফিফা বর্ষসেরা মেসি

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৬ জানুয়ারি: লন্ডনে সোমবার রাতে ‘দা বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে পুরস্কারটির বিজয়ী হিসেবে মেসির নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না তিনি।টানা দ্বিতীয় এবং সব মিলিয়ে অষ্টমবারের মতো ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেলেন ৩৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।গত সেপ্টেম্বরে ফিফার বিশেষজ্ঞ প্যানেল প্রথমে ১২ জনের তালিকা দিয়েছিল। তাদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত তিন জনের তালিকা ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হয় ফিফা ওয়েবসাইটে জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, ফুটবল সাংবাদিক ও সমর্থকদের দেওয়া ভোটে।

এবার পুরস্কারটি জয়ের সম্ভাবনায় ম্যানচেস্টার সিটির ট্রেবলজয়ী স্ট্রাইকার হলান্ডকে এগিয়ে রাখা হচ্ছিল। ২০২২-২৩ মৌসুমে সিটির জার্সিতে নরওয়ের তারকার পারফরম্যান্স ছিল রীতিমতো চোখধাঁধানো।গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড ৩৬ গোল করেন হলান্ড। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেন ক্লাব রেকর্ড ৫২ গোল। সেরার জন্য বিবেচিত সময়ে ৩৩ ম্যাচে তার গোল ছিল ২৮টি।ফিফার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, পুরস্কারটি জিততে হলান্ডের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে মেসির। ভোটাভুটিতে দুজনই সমান ৪৮ স্কোরিং পয়েন্ট পেয়েছেন। কিন্তু (নিয়মের ধারা অনুযায়ী) জাতীয় দলের অধিনায়কদের পছন্দের তালিকায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যকবার প্রথমে থেকে এগিয়ে যান মেসি। এমবাপে ৩৮ স্কোরিং পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

বিভিন্ন নামে ১৯৯১ সাল থেকে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার দিয়ে আসছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থাটি। শুরু থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দা ইয়ার’ নামের পুরস্কারটি একবার জেতেন মেসি, ২০০৯ সালে। সেই থেকে শুরু সেরার মঞ্চে এই মহাতারকার আধিপত্যের।পরের ৬ বছর ফরাসি ম্যাগাজিন ‘ফ্রান্স ফুটবল’ আর ফিফা মিলে দেয় ফিফা ব্যালন দ’র। এই পুরস্কারটি মেসি জেতেন ২০১০, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৫ সালে। এরপর বর্তমানের ‘দা বেস্ট’ নাম দেয় ফিফা, যেটি মেসি প্রথম জেতেন ২০১৯ সালে। এরপর টানা দুইবার পুরস্কারটি জিতলেন তিনি।গতবার মেসির বর্ষসেরা হওয়ায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল কাতার বিশ্বকাপে তার অসাধারণ পারফরম্যান্স। ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে দলকে বিশ্বকাপ জেতানোয় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি।

তবে বিশ্বকাপ এবারের পুরস্কারের জন্য বিবেচিত সময়ের মধ্যে ছিল না। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচনে ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সময় বিবেচনায় নেওয়া হয়। এই সময়ে পিএসজির লিগ আঁ শিরোপা জয়ে অবদান রাখেন মেসি। প্যারিসে নিজের দ্বিতীয় মৌসুমে লিগে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট করেন তিনি। ছিলেন লিগ আঁর মৌসুম সেরা দলে।গত মার্চে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।পিএসজি ছেড়ে গত জুলাইয়ে তিনি যোগ দেন মেজর সকার লিগের দল ইন্টার মায়ামিতে। সেখানেও গোলের পর গোল করে তিনি রাখেন ছাপ, বিবেচিত সময়ে দলটির হয়ে ৭ ম্যাচে করেন ১০ গোল। দলটির হয়ে লিগস কাপ জিতে ৪৪ ট্রফি নিয়ে ফুটবল ইতিহাসের সফলতম খেলোয়াড় হয়ে যান মেসি।

এসবের স্বীকৃতি হিসেবে আরেকবার ফিফা বর্ষসেরা হলেন তিনি। এবারের ব্যালন দ’রও জেতেন মেসি।মেয়েদের ফুটবলের বর্ষসেরা হয়েছেন স্পেন ও বার্সেলোনার মিডফিল্ডার আইতানো বনমাতি।গত অগাস্টে প্রথমবারের মতো স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি। জেতেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল।বার্সেলোনার হয়েও গত মৌসুম দারুণ কাটে বনমাতির। লিগ শিরোপার পাশাপাশি জেতেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ।এইবারের ব্যালন দ’র ও উয়েফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জেতেন ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য