Thursday, January 23, 2025
বাড়িখেলা‘এটাই খাঁটি রেয়াল মাদ্রিদ ডিএনএ’, ঘুরে দাঁড়ানো জয়ের পর বললেন আনচেলত্তি

‘এটাই খাঁটি রেয়াল মাদ্রিদ ডিএনএ’, ঘুরে দাঁড়ানো জয়ের পর বললেন আনচেলত্তি

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১১ জানুয়ারি: সৌদি আরবের রিয়াদে স্প্যানিশ সুপার কাপের প্রথম সেমি-ফাইনালে বুধবার আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৫-৩ গোলে হারায় রেয়াল মাদ্রিদ। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ে ম্যাচে মোড় পাল্টায় বারবার। শুরুর দিকে আতলেতিকো এগিয় যাওয়ার পর রেয়ালকে সমতায় ফেরান আন্টোনিও রুডিগার। পরে ৩৭তম মিনিটে ফেরলঁদ মঁদির রেয়ালকে এগিয়ে নিলেও মিনিট তিনেক পরই ম্যাচে সমতা ফেরে অঁতোয়ান গ্রিজমানের দারুণ গোলে। প্রথমার্ধ সমতায় শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের অনেকটা সময়ও ম্যাচে ছিল সমতা। ৭৮তম মিনিটে রুডিগারের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে রেয়াল। কিন্তু তারা তো হাল ছাড়ার দল নয়। ম্যাচজুড়ে অসাধারণ পারফর্ম করা দানি কারভাহাল ৮৫তম মিনিটে আবার সমতায় ফেরান রেয়ালকে। অতিরিক্তি সময়ের শেষ দিকে আতলেতিকোর স্তেফান সাভিচের আত্মঘাতী গোলের পর ব্রাহিম দিয়াসের খ্যাপাটে দৌড় ও দারুণ ফিনিশিংয়ে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় রেয়ালের। 

সেই ১৯৫০ সালের পর এই প্রথম ৮ গোল হলো মাদ্রিদ ডার্বিতে। সেখানে জয় রেয়ালেরই। আতলেতিকোর জালে তারা ৫ গোল দিতে পারল ১৯৮৩ সালের পর প্রথমবার। আনচেলত্তি এই দফায় দায়িত্বে আসার পর গত দুই-আড়াই বছরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই ধরনের ম্যাচ রেয়াল জিতেছে অনেকগুলোই। এবারের জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে সেদিকই ইঙ্গিত করলেন রেয়াল কোচ। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপর তৃপ্তি নিয়েই তিনি বললেন, “কোচরা সাধারণত এই ধরনের ম্যাচ উপভোগ করে না… তবে আমরা অবশ্যই করি।” আনচেলত্তির আশা, এখনকার দলের তরুণরাও রেয়ালের মানসিকতার সঙ্গে আরও ভালোভাবে পরিচিত হবে এই জয়ে। “এটা তো নতুন কিছুই নয়, এটাই খাঁটি রেয়াল মাদ্রিদ ডিএনএ। আমাদের তরুণদের জন্য খুব ভালো শিক্ষা হতে পারে এই ম্যাচ- এই দল কখনোই হাল ছাড়ে না। পরাজয় আসতেই পারে, কিন্তু কখনোই আশা ছাড়া যাবে না।” ম্যাচ জমিয়ে তোলার জন্য তিনি কৃতিত্ব দিলেন প্রতিপক্ষকেও। তার মতে, দম বেশি থাকায় শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়তে পেরেছে তার দল। 

“আতলেতিকো আমাদেরকে যথেষ্টই বেগ দিয়েছে। দারুণ সব ফুটবলার আছে তাদের… বল খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তারা, যা তাদেরকে বিপজ্জনক করে তোলে। খুব গোছানো দল তারা, সবকিছুই আছে তাদের। এই ধরনের দলের সঙ্গে খেলা সবসময়ই কঠিন। “জমজমাট ম্যাচ হয়েছে। দারুণ দুটি দল তাদের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে শেষ দিকে ওদের প্রাণশক্তির ঘাটতি দেখা দেয়। সেখানেই আমরা এগিয়ে যাই।” রিয়ালের জয়সূচক গোলের পর এবং ম্যাচ জয়ের পর খুব বেশি উদযাপন করতে দেখা যায়নি আনচেলত্তিকে। তার শরীরী ভাষায় ফুটে ওঠেনি খুব বেশি উচ্ছ্বাস। কারণ, শিরোপা জয়ের আগে খুব বেশি উল্লাসের কিছু দেখেন না রেয়াল কোচ। “আমার মনে হয়, ধীরস্থির থাকতে হবে আমাদের। এরকম উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে জয়ের পর অনেক আবেগের প্রকাশ হতে পারে। তবে ট্রফি পেতে হলে এখনও আরও ৯০ মিনিটের লড়াই বাকি আছে। আমাদের লক্ষ্য সেটিই।” দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা ও ওসাসুনা। এই লড়াইয়ের জয়ী দলের সঙ্গে রোববার ট্রফির লড়াইয়ে নামবে আনচেলত্তির দল।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য