স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, আগরতলা ,১৬ আগস্ট: ম্যাচের সেটি দ্বিতীয় গোল। সেমি-ফাইনালের এক তরফা লড়াইয়ে এরপর গোল হলো আরও। দাপট সেই ইন্টার মায়ামিরই। বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে তারা পৌঁছে গেল লিগস কাপের ফাইনালে। মেসি যোগ দেওয়ার পরই বদলে যাওয়া দলটি প্রথমবার বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার স্বাদ পেল। গত লিগস কাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরে গিয়েছিল ফিলাডেলফিয়া। কাগজ-কলমের শক্তিতে মায়ামির সামনে এখনও পর্যন্ত আসরের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছিল তারাই। কিন্তু সেই দলও পাত্তা পেল না মেসিকে পেয়ে উজ্জীবিত মায়ামির কাছে। ৬ ম্যাচে মেসির গোল হলো ৯টি। অভিষেকে শেষ সময়ে দুর্দান্ত ফ্রি কিকে গোল করার পর টানা তিন ম্যাচে দুটি করে গোল করেন তিনি। এরপর কোয়ার্টার-ফাইনাল ও সেমিতেও করলেন গোল।
ফিলাডেলফিয়ার মাঠে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই মায়ামিকে এগিয়ে দেন ইয়োসেফ মার্তিনেস। ভেনেজুয়েলার এই ফরোয়ার্ডের আসরে গোল হলো তিনটি। ২০তম মিনিটে মেসির সেই গোল। তার আচমকা শটে কিছু করতে পারেননি চারপাশে থাকা প্রতিপক্ষের ফুটবলাররা, গোলকিপার পারেননি বাঁ দিকে ফুল লেংথ ডাইভ দিয়েও বলের নাগাল পেতে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে জর্দি আলবা গোল করে অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন মায়ামির জয়। পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান মেসির সাবেক এই বার্সেলোনা সতীর্থ। ৭৩তম মিনিটে ফিলাডেলফিয়া একটি গোল শোধ করে বটে। তবে ম্যাচের শেষ দিকে গোল করে আবার ব্যবধান বাড়ান ইন্টার মায়ামির একাডেমি থেকে উঠে আসা ১৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডার দাভিদ রুইস। লিগস কাপের ফাইনালে শনিবার রাতে মায়ামির প্রতিপক্ষ ন্যাশভিল এসসি। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর ক্লাবগুলিকে নিয়ে আয়োজিত হয় এই লিগস কাপ। এবারের আসরে খেলছে ৪৭ দলের সবকটি। লিগস কাপের ফাইনালে উঠতে পারায় পরের মৌসুমের কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে খেলা নিশ্চিত হলো মায়ামির। মহাদেশীয় এই আসরে প্রথমবার খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ক্লাবটি।