স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৮ জুন: আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করা হয় মঙ্গলবার। ৫ অক্টোবর টুর্নামেন্ট শুরু হবে আহমেদাবাদে, ১৯ নভেম্বর ফাইনালও সেখানেই। দুটি সেমি-ফাইনাল মুম্বাই ও কলকাতায়। এছাড়াও প্রথাগত বড় ভেন্যুগুলোর মধ্যে দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদ অনুমিতভাবেই আছে তালিকায়। সঙ্গে বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে পুনে, লক্ষ্ণৌ ও ধর্মশালা।ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে কিছুদিন আগে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ সিরিজের টেস্ট ম্যাট হয়েছে। মধ্য প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আভিলাষ খান্ডেকার বার্তা সংস্থা পিটিআইকে শোনালেন তাদের হতাশার কথা।
“সেই ১৮৯৭ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের ম্যাচ আয়োজন করেছে ইন্দোর। এই ভেন্যুকে বাদ দেওয়ায় আমাদের খুব খারাপ লেগেছে। আমি জানি না, বিসিসিআইয়ের ওপর কোনো চাপ ছিল কি না বা বাধ্যবাধকতা ছিল কি না। তবে ইন্দোরের ক্রিকেট সংস্কৃতি অঅনেক সমৃদ্ধ। এজন্যই আমরা আশা করেছিলাম যে বিশ্বকাপের ম্যাচ আমরা পাব।”মোহালির বিশ্বকাপ ম্যাচ না পাওয়াটা সত্যিকার অর্থেই বড় বিস্ময়। ২০১১ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তানের সেমি-ফাইনাল হয়েছিল এই মাঠে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের ম্যাচও আয়োজন করেছিল তারা। ভারতের আন্তর্জাতিক ভেন্যুগুলোর মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ে থাকে এটি।পাঞ্জাবের ক্রীড়ামন্ত্রী গুরমিত সিং মান তো এখানে রাজনীতির চাল দেখার কথা বললেন সরাসরিই।
“এটা দারুণ ব্যাপার যে বিশ্বকাপ ভারতে ফিরছে। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার, যেখান থেকে ভারতীয় ক্রিকেটের অকে মহাতারকার জন্ম হয়েছে, যে স্টেডিয়ামকে দেশের সেরা ৫ ভেন্যুর মধ্যে রাখা হয়, সেখানে একটি ম্যাচও রাখা হয়নি। অন্যদিকে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচের পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তানের মতো বড় ম্যাচও রাখা হয়েছে।”“এমনকি আমাদের প্রতিবেশী ধর্মশালাও ৫টি ম্যাচ পাচ্ছে। কিন্তু পাঞ্জাব একটিও পায়নি। এতেও পরিষ্কার যে এখানে রাজনীতি খেলা হয়েছে।”পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তাও একইরকম অভিযোগ তুললেন।“মনে হচ্ছে, ভারতীয় বোর্ডের কর্মকর্তারা যেসব শহর থেকে এসেছেন, সেই ভেন্যুগুলোই শুধু ম্যাচ পেয়েছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু একটি ম্যাচও পেলাম না। এমনকি একটি প্রস্তুতি ম্যাচও না পাওয়াটা হতাশার।”ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, মোহালি, ইন্দোর ছাড়াও বিশ্বকাপের ম্যাচ না পেয়ে হতাশা ও অভিযোগ আছে নাগপুর, রাজকোট ও রাঁচিতেও।