স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২৭ জুন: প্রথমবারের মতো এটিপির (অ্যাসোসিয়েশন অব টেনিস প্রফেশনালস) কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজনের অপেক্ষায় আছে সৌদি আরব। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি, তবে সৌদির পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও অন্য বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এটিপি প্রধান আন্দ্রে গাউনদেনজির ইতিবাচক আলোচনাই হয়েছে।এমন গুঞ্জনের মধ্যেই নতুন সুখবর পেল সৌদি আরব। ২০২৩ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করবে সৌদি আরব। গতকাল এক বিবৃতিতে সৌদি ফুটবল ফেডারেশন ও ফিফা সৌদির প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।এবারের ক্লাব বিশ্বকাপ হবে ডিসেম্বরের ১২ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত। ক্লাব বিশ্বকাপের সব কটি ম্যাচই হবে জেদ্দায়। সৌদি সফর শেষে ফিফা তাদের ওয়েবসাইটে এই ঘোষণা দিয়েছে। সৌদি ফুটবলের অবকাঠামো ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য যথেষ্ট কি না, তা দেখতে জেদ্দায় গিয়েছিল ফিফার একটি প্রতিনিধি দল। কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়াম, প্রিন্স আবদুল্লাহ আল ফয়সাল স্টেডিয়ামসহ অন্য ফুটবলারদের অনুশীলন ও আবাসনের সুবিধায় সন্তুষ্ট ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।
সৌদি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ইয়াসের আল মিশেল ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনকে সৌদির সুযোগ হিসেবে দেখছেন, ‘সৌদি আরবের বর্তমান এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় ক্রীড়া প্রধান নিয়ামক। এটা সৌদি আরবকে ক্রীড়াবিশ্বের অন্যতম রোমাঞ্চকর ও দ্রুত বর্ধনশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। আমরা বিশ্বাস করি, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ আমাদের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে ও সমর্থকদের অনুপ্রাণিত করার বড় একটা সুযোগ।’ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সর্বশেষ টুর্নামেন্ট হয়েছে মরক্কোতে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। যেখানে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালকে হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো শিরোপা জিতেছিল স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মরক্কোয় হওয়া সর্বশেষ ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল ৬ মহাদেশ চ্যাম্পিয়নসহ ৭টি দল।
চলতি বছরের শেষ দিকে সৌদি আরবেও সমানসংখ্যক দল অংশ নেবে। তবে ২০২৫ সাল থেকে ক্লাব বিশ্বকাপে ৩২টি দল অংশ নেবে। এর মধ্যে ইউরোপ থেকে ১২টি, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ৬টি, আফ্রিকা, এশিয়া ও উত্তর-মধ্য আমেরিকা থেকে ৪টি করে ক্লাব থাকবে। বাকি দুটির একটি ওশেনিয়া মহাদেশের, আরেকটি স্বাগতিক দেশের।মানবাধিকার, বাক্স্বাধীনতায় কণ্ঠরোধসহ নানা বিতর্কে অনেক দিন ধরেই জড়িয়ে সৌদি আরবের নাম। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি এখন খেলাধুলার মাধ্যমে বিশ্বের সামনে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে তুলতে চায়। যার অংশ হিসেবে ফুটবল, টেনিস, গলফে বিপুল অর্থ ঢালা হচ্ছে। ক্রিকেটে বিনিয়োগের কথাও শোনা যাচ্ছে। হঠাৎ বিভিন্ন খেলায় এভাবে টাকা ব্যয়ের কার্যক্রমকে সমালোচকেরা ‘স্পোর্টস ওয়াশিং’ নামে অভিহিত করছেন। অনেক ক্রীড়াবিশ্লেষকই সৌদির এই ‘স্পোর্টস ওয়াশিং’ বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করেন। তবে সব বিতর্ক তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে ঠিকই এগোচ্ছে সৌদি।