স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২০ জুন: প্যারিসে সোমবার রাতে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে ফ্রান্স। আধা ঘণ্টার বেশি সময় ১০ জন নিয়ে খেলেছে গ্রিস।বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম চার ম্যাচের সবগুলিই জিতল ফ্রান্স। ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে তারা। টানা দুই জয়ের পর প্রথম হারের স্বাদ পাওয়া গ্রিস ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে।২০০৬ সালের পর দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে দ্বিতীয় মিনিটে গ্রিসের এক খেলোয়াড়ের চ্যালেঞ্জে এমবাপে বক্সের ভেতর পড়ে গেলে পেনাল্টির আবেদন করে ফ্রান্সের সবাই, তবে রেফারির সাড়া মেলেনি।বল দখল ও আক্রমণে অনেক এগিয়ে থাকলেও গ্রিক গোলরক্ষকের পরীক্ষা অবশ্য নিতে পারছিল না ফরাসিরা। প্রথমার্ধের সেরা সুযোগটি পায় তারা বিরতির আগ মুহূর্তে। কিংসলে কোমানের ক্রস দূরের পোস্টে পেয়ে শট নেন জুল কুন্দে, ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক।
ঘটনাবহুল এক গোলে দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। বক্সে হেড নিতে যাওয়া অঁতোয়ান গ্রিজমানের মাথায় বুট দিয়ে আঘাত করেন গ্রিক ডিফেন্ডার কনস্টান্টিনোস মাভ্রোপানোস। তাকে হলুদ কার্ড দেখানোর পর ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দেন রেফারি।স্পট-কিকে শুরুতে এমবাপের শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক, কিন্তু আগেই তিনি লাইন থেকে বেরিয়ে আসায় আবার সুযোগ পায় ফ্রান্স, এবার আর ভুল করেননি অধিনায়ক এমবাপে।৬৯তম মিনিটে আরেকটি বড় ধাক্কা খায় গ্রিস। বক্সের মাথায় কোলো মুয়ানিকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন মাভ্রোপানোস। গ্রিজমানের ফ্রি-কিক উড়ে যায় ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে।বাকি সময়ে একের পর এক আক্রমণ করে যায় ফ্রান্স। তবে এমবাপে, মুয়ানিরা পারেননি আর ব্যবধান বাড়াতে। যোগ করা সময়ের খেলা হয় ১৪ মিনিট!গ্রুপের আরেক ম্যাচে জিব্রাল্টারকে ৩-০ গোলে হারিয়ে তিন ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড। সমান পয়েন্ট নিয়ে চারে দুই ম্যাচ খেলা নেদারল্যান্ডস। চার ম্যাচের সবগুলি হেরে সবার নিচে জিব্রাল্টার।