স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২০ জুন: ২০২৪ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বের ম্যাচে সোমবার রাতে ৭-০ গোলে জিতেছে ইংল্যান্ড। গ্যারেথ সাউথগেটের দলের অন্য দুই গোলদাতা মার্কাস র্যাশফোর্ড ও কেলভিন ফিলিপস।ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে দ্বিতীয় মিনিটেই ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। তবে কাইল ওয়াকারের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষককে তেমন একটা ভাবাতে পারেননি সাকা।স্বাগতিকদের আক্রমণের জোয়ারের সামনে শুরুতে দারুণ দৃঢ়তা দেখায় মেসিডোনিয়া। প্রথমার্ধের লম্বা একটা সময় কোনো না কোনোভাবে ঠেকিয়ে রাখে সাকা, কেইন, র্যাশফোর্ডদের।
২৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। র্যাশফোর্ডের কাছ থেকে বল পেয়ে লুক শ চমৎকার কাট ব্যাকে খুঁজে নেন কেইনকে। সফরকারীদের একজনের পা ছুঁয়ে এলেও ইংল্যান্ড অধিনায়কের কোনো সমস্যা হয়নি। ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠান তিনি।জাতীয় দলের টানা ছয় ম্যাচে জালের দেখা পেলেন কেইন।নয় মিনিট পর স্কোরলাইন ২-০ করে ফেলেন সাকা। ওয়াকারের কাছ থেকে বল পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন আর্সেনালের এই ফরোয়ার্ড।৪৫তম মিনিটে দলের তৃতীয় গোলটি করেন র্যাশফোর্ড। এতে দারুণ অবদান কেইনের। মেসিডোনিয়ার এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে টটেনহ্যাম হটস্পারের স্ট্রাইকার খুঁজে নেন জর্ডান হেন্ডারসনকে। বাইলাইন ধরে এগিয়ে লিভারপুল মিডফিল্ডার বল বাড়ান র্যাশফোর্ডকে। ছয় গজ দূর থেকে বাকিটা অনায়াসেই সারেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মোটেও অপেক্ষা করতে হয়নি সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। ৪৭তম মিনিটে ট্রেন্ট অ্যালেজান্ডার-আর্নল্ডের ৫০ গজ দূর থেকে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বুলেট গতির শটে স্কোরলাইন ৪-০ করে ফেলেন সাকা। চার মিনিট পর আরেকটি গোলে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি।৬৪তম মিনিটে গোল উৎসবে যোগ দেন ফিলিপস। জ্যাক গ্রিলিশের ক্রস যেন কেইন পর্যন্ত না যায় এর জন্য মরিয়া ছিলেন মেসিডোনিয়ার এক ডিফেন্ডার। ক্লিয়ার করার চেষ্টায় উল্টো বিপদ ডেকে আনেন তিনি। ফাঁকা জালে অনায়াসেই বল পাঠান একটু আগেই বদলি নামা ফিলিপস।৭৩তম মিনিটে সফল স্পট কিকে দলের সপ্তম গোলটি করেন কেইন। জন স্টোনস ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পেয়েছিল ইংল্যান্ড। এই গোলের পরপরই কেইনকে তুলে নেন স্বাগতিক কোচ। বাকি সময়ে আর জালের দেখা পায়নি ইংল্যান্ড। মেসিডোনিয়াও পারেনি ব্যবধান কমাতে।চার ম্যাচে চতুর্থ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষে আছে ইংল্যান্ড। দিনের অন্য ম্যাচে মাল্টাকে ১-০ গোলে হারিয়ে দুই নম্বের উঠে এসেছে ইউক্রেইন। ৩ ম্যাচে দলটির পয়েন্ট ৬।২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে ইতালি। সমান পয়েন্ট নিয়ে চারে মেসিডোনিয়া, একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে তারা। চার ম্যাচের সবগুলি হেরেছে মাল্টা।