স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,,২৩ এপ্রিল: আইপিএলে শনিবার লক্ষ্নৌর অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়াম স্বাক্ষী হয় অবিশ্বাস্য এই ম্যাচের। লক্ষ্নৌর দারুণ বোলিংয়ে ২০ ওভারে স্রেফ ১৩৫ রান তুলতে পারে গুজরাট টাইটান্স। রান তাড়ায় লক্ষ্ণৌ খুব ঝড় তুলতে না পারলেও ম্যাচ ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৫ রান। পরের জুটিতেও আসে অর্ধশত। রাহুল নিজে ফিফটি করে ফেলেন ৩৮ বলে। ১৪ ওভার শেষে তাদের রান দাঁড়ায় ১ উইকেটে ১০৫। শেষ ৩৬ বলে তাদের প্রয়োজন পড়ে স্রেফ ৩১ রানের, উইকেট তখনও আছে ৯টি। অকল্পনীয় পালা বদলের শুরু এরপরই। তিনে নামা ক্রুনাল পান্ডিয়া আউট হয়ে যান ২৩ বলে ২৩ রান করে। হুট করেই হারিয়ে যায় বাউন্ডারি। ক্রুনালকে ফেরানোর পর ১৮ বছর বয়সী আফগান বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার নূর আহমাদ ফিরিয়ে দন বিপজ্জনক নিকোলাস পুরানকেও। রানের গতি থমকে যায়।
১৯তম ওভারে মোহাম্মদ শামির বোলিংয়ে আসে স্রেফ ৫ রান। শেষ ওভারের সমীকরণ দাঁড়ায় ১২ রানের। কিন্তু মোহিত শর্মা দুর্দান্ত বোলিং করেন ওই ওভারে। এবারের আসর দিয়ে আইপিএল ক্যারিয়ারের পুনরুজ্জীবিত করা এই পেসার প্রথম বলে দুই রান দিলেও পরের দুই বলে ফিরিয়ে দেন রাহুল (৬১ বলে ৬৮) ও মার্কাস স্টয়নিসকে। তার হ্যাটট্রিক না হলেও দলের হয়। পরপর তুই বলে রান আউট হন দুজন। শেষ পর্যন্ত গুজরাট জিতে যায় ৭ রানে।
শেষ ৬ ওভারে কোনো বাউন্ডারি মারতে পারোন লক্ষ্নৌ। রান তুলতে পারে তারা স্রেফ ২৩। ম্যাচের পর রাহুল বললেন, তিনি নিজেও তাৎক্ষণিকভাবে বুঝে উঠতে পারছেন না।“আমি জানি না, এটা কীভাবে হয়ে গেল…সবকিছু এত দ্রুত হলো। তবে হ্যাঁ, এটিই ক্রিকেট। এটা আমাদেরকে আবার মনে করি দিল যে, শেষ বলটি না হওয়া পর্যন্ত খেলা জেতা যায় না।” “এখনও আমি সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারব না কোথায় ভুলটা হলো। তবে, যা হওয়ার হয়ে গেছে, আমরা দুটি পয়েন্ট হারিয়েছি। ম্যাচ আমাদের মুঠোয় ছিল, কিন্তু আমরা ফেলে দিয়েছি।” এই হার যে কিছুদিন কাঁটা হয়ে বিদ্ধ করবে, তা অস্বীকার করলেন না রাহুল। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ও শোনালেন তিনি। “এটা আমাদের এখন মেনে নিতেই হবে। যা হওয়ার হয়েই গেছে। শেষ পর্যন্ত খেলাটা ক্রিকেট, এই ধরনের ব্যাপার এখানে হয়। যদিও এটা অন্তত কিছু সময় হলেও আমাদের তাড়া করবে। তবে আমরা চেষ্টা করব শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে।”