Saturday, April 20, 2024
বাড়িখেলামার্ফি-মরিসকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বাজি

মার্ফি-মরিসকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বাজি

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,৬ এপ্রিল: শুধু মরিস নয়, চুক্তিতে জায়গা পেয়েছেন এবার শন অ্যাবট, জাই রিচার্ডসন ও মাইকেল নিসারে মতো অস্ট্রেলিয়ার ‘ব্যাক আপ’ পেসাররাও। সামনে অ্যাশেজ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপসহ ঠাসা আন্তর্জাতিক সূচির কারণে কদিন আগেই সিদ্ধান্ত হয়, কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারের সংখ্যা এবার ২০ থেকে বাড়িয়ে ২৪ করা হবে। বাড়তি সেই জায়গাগুলোতে মূলত প্রাধান্য দেওয় হয়েছে পেসারদেরই।চুক্তিতে না থাকাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম পিটার হ্যান্ডসকম ও ম্যাট রেনশ। সম্প্রতি ভারত সফরে অস্ট্রেলিয়ার চারটি টেস্টই খেলেন হ্যান্ডসকম। খুব দারুণ কিছু না করতে পারলেও কঠিন কন্ডিশনে তার পারফরম্যান্স খারাপ ছিল না। রেনশ ভারত সফরে দুটি টেস্ট খেলার আগে দেশে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও খেলেন সিডনি টেস্টে। পারফরম্যান্স অবশ্য খুব ভালো ছিল না তার।

ভারতেই অভিষেক টেস্টে ৭ উইকেট নিয়েচমকে দেন মার্ফি। স্রেফ ৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে ভারতে গিয়ে স্পিনে দক্ষ ব্যাটসম্যানদের সামনে তার বোলিং মুগ্ধতা ছড়ায় ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে। ন্যাথান লায়নের উত্তরসূরী হিসেবেও তাকে দেখা হচ্ছে এখন। চুক্তিতে জায়গা দেওয়া সেটিরই স্বীকৃতি।গতবারের চুক্তি থেকে এবার নেই অবসের যাওয়া অ্যারন ফিঞ্চ আর লেগ স্পিনার মিচেল সোয়েপসন। আগেরবার সংক্ষিপ্ত সময়ের চুক্তিতে থাকা ম্যাথু ওয়েডও নেই এবার। টিকে গেছেন আরেক কিপার-ব্যাটসম্যান জশ ইংলিস।চুক্তিতে থাকাদের মধ্যে চমকপ্রদ নাম বলা যায় মার্কাস হ্যারিস। ২০২১-২২ অ্যাশেজের পর আর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার সুযোগ তিনি পাননি। ১৪ টেস্টের ক্যারিয়ারে তার ব্যাটিং গড় ২৫.২৯, ফিফটি ৩টি। তবে ডেভিড ওয়ার্নারের ফর্ম নিয়ে দুর্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ ভাবনা মিলিয়েই চুক্তিতে ফেরানো হয়েছে ৩০ বছর বয়সী ওপেনারকে। আগামী অ্যাশেজ ইংল্যান্ডে, বছরের শেষে টেস্ট সিরিজ আছে নিউ জিল্যান্ডে। এই ধরনের কন্ডিশনে হ্যারিসের ওপর ভরসা রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক জর্জ বেইলি।

২৪ জনের এই তালিকায় যাদের জায়গা হয়নি, তাদের জন্যও পরে চুক্তিতে ঢোকার সুযোগ আছে ১২ পয়েন্ট অর্জন করতে পারলে। একটি টেস্ট খেললে মিলবে ৫ পয়েন্ট, প্রতিটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য ২ পয়েন্ট করে।এবারও অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ আয় করা ক্রিকেটার হতে যাচ্ছেন প্যাট কামিন্স। অধিনায়কত্বের বোনাস মিলিয়ে চুক্তি থেকে বছরে ৩০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত আয় করার সুযোগ থাকছে তার সামনে। এর বাইরে ম্যাচ ফি, সফর ও সিরিজকালীন দৈনিক ভাতা তো আছেই। ম্যাচ ফিও ভাতা ছাড়া সর্বনিম্ন আয় হবে ৩ লাখ ৬৭ হাজার অস্ট্রেলিয়ার ডলার।গড়ে ক্রিকেটারদের বাৎসরিক আয় হবে ৯ লাখ ৫১ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। আগের চেয়ে যা বেড়েছে সাড়ে সাত শতাংশ।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চুক্তিতে আছেন যারাশন অ্যাবট, অ্যাশটন অ্যাগার, স্কট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স কেয়ারি, প্যাট কামিন্স, ক্যামেরন গ্রিন, মার্কাস হ্যারি, জশ হেইজেলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস, উসমান খাওয়াজা, মার্নাস লাবুশেন, ন্যাথান লায়ন, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ল্যান্স মরিস, টড মার্ফি, মাইকেল নিসার, জাই রিচার্ডসন, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টয়নিস, ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যাডাম জ্যাম্পা।

 

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য