স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,৭ ডিসেম্বর: এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার স্পেন ও মরক্কোর শেষ ষোলোর ম্যাচটির নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা গোলশূন্য ড্র হয়। পরে টাইব্রেকারে ৩-০ গোলে জিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার উল্লাসে মাতে মরক্কো। টাইব্রেকারে স্পেনের তিনটি শটের কোনোটিই জালের দেখা পায়নি। পাবলো সারাবিয়া প্রথম শট নিতে এসে মারেন গোল পোস্টে। কার্লোস সলের ও সের্হিও বুসকেতসের শট ঠেকিয়ে দেন ইয়াসিন বোনো। স্পেন গোলরক্ষক উনাই সিমোনও অবশ্য একটি সেভ করেন। কিন্তু তাতে বদলায়নি স্প্যানিশদের ভাগ্য। ম্যাচের পর দায় স্বীকার করার পাশাপাশি মরক্কো গোলরক্ষক বোনোকে প্রশংসায় ভাসান এনরিকে। “দায়টা আমার। পেনাল্টি নেওয়ার জন্য প্রথম তিনজনকে আমিই বাছাই করি। যাদেরকে আমি মাঠের সেরা বিশেষজ্ঞ ভেবেছিলাম। আমরা চতুর্থ শটও নিতে পারিনি। বোনো এই জায়গায় দুর্দান্ত গোলরক্ষক। সে ছিল অসাধারণ।”
ম্যাচে স্পেন ১ হাজার ৬৩ পাসের মধ্যে সফল ছিল ৯৮৮টিতে। আর তাদের থেকে বেশ পিছিয়ে থাকা মরক্কো ২৩৮টি সফল পাস দিয়েছে। বল পজেশনে তো স্পেনের ধারেকাছেও নেই আফ্রিকার দলটি-৬৩ শতাংশ স্পেন, মরক্কো ২১ শতাংশ। এনরিকের চাওয়া মতো সবকিছুই করেছেন গাভি, পেদ্রিরা। কেবল গোলটাই এনে দিতে পারেননি দলকে। এর জন্য কিছুটা আক্ষেপ করলেও খেলোয়াড়দের মনোভাবের স্তুতি ঝরল এনরিকের কণ্ঠে। “আমি আমার দল নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট। তারা আমার ধারণা এবং ধরনের প্রতিনিধিত্ব করেছে। পুরো বিশ্বকাপে তাদের মনোভাবের জন্য আমি কেবল প্রশংসা করতে পারি।” “মরক্কোকেও জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই। পেনাল্টি শুটআউটে তারা আমাদের চেয়ে ভালো ছিল।” ২০১৮ আসরেও শেষ ষোলোয় টাইব্রেকারে রাশিয়ার বিপক্ষে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল স্পেনের। এরপরই দলটির দায়িত্ব নেন এনরিকে। মাঝে একবার ছেড়েও দেন কোচের পদ। পরে আবার ফেরেন তিনি। তার কোচিংয়ে ২০২০ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে খেলে স্পেন। এবার বিশ্ব কাপে আগেভাগেই শেষ হয়ে গেল দলটির পথচলা। তাই প্রশ্নও উঠছে এনরিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে। এই গ্রীষ্মে তার সঙ্গে চুক্তিও শেষ হয়ে যাবে স্পেনের। “আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলার এটা সঠিক সময় নয়। আমার চুক্তি শেষের পথে। তবে আমি খুবই খুশি জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করতে পেরে।”