স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৫ ডিসেম্বর: দুজনকেই মূলত নেওয়া হয়েছে ‘ব্যাক আপ’ পেসার হিসেবে। তবে দিন-রাতের টেস্টে বোলিং আক্রমণে বৈচিত্র আর ধার বাড়ানোর কোনো ভাবনা অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্টের থাকলে টেস্ট ক্যাপও পেয়ে যেতে পারেন মরিস।এবারের শেফিল্ড শিল্ডে নিয়মিত ১৫০ কিলোমিটার গতির ওপরে বল করে আলোচনার জন্ম দেন মরিস। শুধু গতি নয়, কার্যকারিতায়ও পিছিয়ে নেই ২৪ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার। স্রেফ ১৮.৪০ গড়ে ২৭ উইকেট নিয়ে এবারের শেফিল্ড শিল্ডে এখনও পর্যন্ত সফলতম উইকেট শিকারি তিনিই।গতি দিয়ে অবশ্য আলোচনায় আছেন তিনি অনেক দিন ধরেই। একসময়ের গতিময় ফাস্ট বোলার শন টেইটের সঙ্গে মিলের কারণে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে মরিস নাম পেয়ে গেছেন ‘দা ওয়াইল্ড থিং।’৫ বছর আগে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাকে গতিময়তার জন্যই। খুব ভালো অবশ্য করতে পারেননি, অনেক অপরিণতও ছিলেন তখন। পরে ক্রমে নিজেকে গুছিয়ে নেন।২০২০ সালে জানুয়ারিতে বিগ ব্যাশের ম্যাচ দিয়ে পা রাখেন স্বীকৃত ক্রিকেটে। ওই বছরের অক্টোবরেই অভিষেক শেফিল্ড শিল্ডে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেই এখনও পর্যন্ত তিনি সবচেয়ে সফল। এই সংস্করণে ১৮ ম্যাচে উইকেট ৫৯টি। গত অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নজর কাড়েন দারুণ বোলিং করে।নিসার তার ক্যারিয়ারের একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি খেলেছেন গত ডিসেম্বরে অ্যাশেজ সিরিজে। এরপর নানা সময়ে দলে থাকলেও আর খেরঅর সুযোগ পাননি। এবার স্কোয়াডে জায়গা পেলেন আবার।মূলত প্যাট কামিন্সের খানিকটা চোট শঙ্কা আর প্রথম টেস্টে মিচেল স্টার্ক ও জশ হেইজেলউডের অনেক ওভার বোলিং করতে হওয়ায় স্কোয়াডে যুক্ত করা হয়েছে মরিস ও নিসারকে। কামিন্সের যদিও আশা, সময়মতোই ফিট হয়ে উঠবেন। শেষ পর্যন্ত তিনি খেলতে না পারলে নেতৃত্ব দেবেন স্টিভেন স্মিথ আর একাদশে জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে আগে থেকেই স্কোয়াডে থাকা স্কট বোল্যান্ড।যদি স্টার্ক বা হেইজেলউডের কাউকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, সেক্ষেত্রে সুযোগ আসতে পারে মরিস বা নিসারের সামনে।প্রথম টেস্টে ১৬৪ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয়টেস্ট অ্যাডিলেইডে বৃহস্পতিবার থেকে।অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দল: প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), স্কট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স কেয়ারি, ক্যামেরন গ্রিন, মার্কাস হ্যারিস, জশ হেইজেলউড, ট্রাভিস হেড, উসমান খাওয়াজা, মার্নাস লাবুশেন, ন্যাথান লায়ন, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, ডেভিড ওয়ার্নার, মাইকেল নিসার, ল্যান্স মরিস।