স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৭ নভেম্বর: চার বছর আগের বিশ্বকাপ টেলিভিশনের সামনে বসে দেখেছেন রিশার্লিসন। সব কিছু ঠিক থাকলে এবার তিনি কাতার বিশ্বকাপগামী ব্রাজিল দলের সঙ্গী হবেন। স্বাভাবিকভাবে দারুণ রোমাঞ্চিত, শিহরিত এই ফরোয়ার্ড মুখিয়ে আছেন আলো ছড়াতে। এমন উন্মুখ হয়ে থাকার কারণ জানিয়ে ২৫ বছর বয়সী ফুটবলার বললেন, ব্রাজিলের জার্সি আমার সঙ্গে বেশ মানায়। ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতা ব্রাজিল দলের সদস্য ছিলেন রিশার্লিসন। রিও দে জেনেইরোর ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামের সেই ফাইনালে পেরুর বিপক্ষে গোলও করেছিলেন। ২০২০ অলিম্পিকসের ফুটবল ইভেন্টের সোনার পদকও জেতেন তিনি। ২০১৮ সালে ব্রাজিল দলে ডাক পাওয়ার পর আলো ছড়াচ্ছেন রিশার্লিসন। কাতার বিশ্বকাপের বাছাইয়েও খেলেছেন নিয়মিত। গত চার বছর ধরে ব্রাজিলের হয়ে শুধু নিয়মিত খেলছেন না, গোলও করেছেন। এই সময়ে রিশার্লিসনের ১৬ গোলের চেয়ে ব্রাজিলের হয়ে বেশিবার জালে বল পাঠিয়েছেন কেবল নেইমার। ছন্দে থাকা রিশার্লিসন এখন তাকিয়ে কাতার বিশ্বকাপের দিকে। সামনের দিনগুলোতে গোলের ধারা অটুটু রাখতে আশাবাদী বর্তমানে টটেনহ্যাম হটস্পারে খেলা এই ফরোয়ার্ড। “যখন থেকে আমি সেলেসাওদের জার্সি গায়ে তুলেছি, ভালো অনুভব করছি, গোল করছি, অ্যাসিস্ট করছি এবং এই জার্সির জন্য সবকিছু করছি। আশা করি, এটা এমনই থাকবে। অলিম্পিকসে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলাম, তাই আমার মনে হয়, এই জার্সিটা আসলেই আমার সঙ্গে মানায়।” “কোপা আমেরিকার ফাইনালে করা গোলটি আমার ফেভারিট। কেননা, সেবার আমরা শিরোপা জিতেছিলাম এবং মারাকানা স্টেডিয়াম ছিল দর্শকে ঠাসা। তখন মাত্র ২২ বছর বয়সী ছিলাম আমি।” ২০১৭ সালে ফ্লুমিনেন্স থেকে ওয়ার্টফোর্ড, এভারটন হয়ে এ বছর টটেনহ্যামে যোগ দেন রিসার্লিশন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অনেক কিছু শিখেছেন বলেও মনে করেন তিনি। সে সব শিক্ষা নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে শিরোপা জিততে উন্মুখ রিশার্লিসন। “আমার প্রথম বিশ্বকাপ…এটা স্বপ্নের মতো। আগে আমি শুধু টিভিতে বিশ্বকাপ দেখতাম; গত বিশ্বকাপের সময় জাতীয় দলের সমর্থক ছিলাম এবং এখন আমি মাঠে প্রতিটি বল, প্রতিটি ট্যাকলের জন্য ছুটব, যাতে করে আমরা চূড়ায় উঠতে পারি।”