স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,২৭ অক্টোবর: সিডনিতে বৃহস্পতিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রুশোর খুনে ইনিংসের সুবাদেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০৫ রানের পুঁজি গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে বোলারদের নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষকে ১০১ রান গুটিয়ে ১০৪ রানের বড় জয় তুলে নেয় তারা।৮ ছক্কা ও ৭ চারে ৫৬ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন রুশো।আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এনিয়ে চতুর্থবার ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। যার তিনটিই চলতি বছর।আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুই ইনিংস আগেও কোনো সেঞ্চুরি ছিল না রুশোর। কিন্তু এখন তার নামের পাশে দুই শতক, টানা দুটি ইনিংসে। বিশ্বকাপের ঠিক আগে ভারত সফরে খেলেছিলেন তিনি ৮ ছক্কা ও ৭ চারে ৪৮ বলে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস।২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় রুশোর। মাঝে জাতীয় দলের ক্যারিয়ারকে থমকে দিয়ে কলপ্যাক চুক্তিতে পাড়ি জমান তিনি ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে। ৬ বছরের নির্বাসন শেষে আবার দেশের জার্সি গায়ে চাপান তিনি গত জুলাইয়ে।তাই জাতীয় দলের হয়ে এবারই প্রথম বৈশ্বিক আসর খেলার সুযোগ এলো তার।
আর প্রথম ইনিংসেই করলেন তিনি বাজিমাত। দলের জয়ের রাখলেন সবচেয়ে বড় অবদান।প্রথম ওভারে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার বিদায়ের পর উইকেটে যান রুশো। মুখোমুখি পঞ্চম বলে তাসকিনকে চার মেরে শুরু তার ঝড়ের। পরের ওভারে হাসান মাহমুদকে হাঁকান ছক্কা ও চার।দুই ছক্কায় ওড়ান মেহেদী হাসান মিরাজকে। পরে মোসাদ্দেক হোসেনকে মারেন একটি। ৩০ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলে তিনি।পরের পঞ্চাশ রান তুলতে লাগে তার স্রেফ ২২ বল। এই সময়ে সাকিব আল হাসানকে চারের পর ওড়ান টানা দুই ছক্কায়। তাসকিনকে এক ওভারে ৩ চার হাঁকিয়ে নব্বইয়ের ঘরে পৌঁছে যান রুশো। ওই ওভারেই ক্যাচ দিয়ে জীবন পান ৮৮ রানে।কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পান রুশো ৫২ বলে। হেলমেট-ব্যাট উঁচিয়ে উদযাপন করার পাশাপাশি হাঁটু গেঁড়ে আকাশের দিকে তালিয়ে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে মুহূর্তটি উপভোগ করতে দেখা যায় তাকে।রুশোর ঝড় থামান সাকিব। ছক্কার চেষ্টায় ব্যাটে-বলে করতে পারেননি ঠিকঠাক। বল উঠে যায় আকাশে। কাভারে সহজ ক্যাচ নেন লিটন দাস।তাতে অবশ্য লাভ হয়নি খুব একটা। ততক্ষণে যে দুইশর কাছাকাছি পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে রান তাড়ায় নেমে প্রতিপক্ষ বোলারদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং।