স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,১১ অক্টোবর: নেদারল্যান্ডসের প্রধান কোচ এখন রায়ান কুক। কেপ টাউনে কার্স্টেনের একাডেমির কোচ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি অনেক বছর। বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন। মূলত কুকের উদ্যোগেই কেপ টাউনে কার্স্টেনের একাডেমিকে অনুশীলন করে দল। কার্স্টেন তখনও ডাচদের সঙ্গে কাজ করেন কিছুটা।এবার বিশ্বকাপেও এই দলের সঙ্গে কাজ করার সুযোগটি পেয়ে রোমাঞ্চিত কার্স্টেন।“কেপ টাউনে ডাচ দলের সঙ্গে কাজ করাটা আমি উপভোগ করেছি এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও পরামর্শক হিসেবে কাজ করতে মুখিয়ে আছি। ওই ক্যাম্পের সময় তাদের স্কিল ও পেশাদারিত্ব দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তারা প্রস্তুত থাকবে এবং বিশ্বকাপে ভালো কিছু করে নাড়া দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকবে।”দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন কার্স্টেন পরে কোচিংয়ে এসেও দারুণ সফল। তার কোচিংয়েই ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠে ভারত, জিতে নেয় ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য জাতীয় দলের কোচিংয়ে খুব একটা সাফল্য নেই তার। ২০০৯ ও ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন ভারতের কোচ, ২০১২ আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার। কোনোবারই তার দল সেমি-ফাইনালে উঠতে পারেনি। তবে এই বছর আইপিএল অভিষেকেই শিরোপাজয়ী গুজরাট টাইটান্সের ব্যাটিং কোচ ছিলেন তিনি।ক্রিস্টিয়ানকে কোচিং স্টাফে যোগ করার মূল কারণ, অস্ট্রেলিয়ায় তার অভিজ্ঞতা। বিগ ব্যাশের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার তিনি, সবগুলো মাঠ ও উইকেটের চরিত্র তার জানা।টি-টোয়েন্টির আঙিনায় বেশ পরিচিত মুখ এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনি খেলেছেন ২০১০, ২০১২ ও ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। গত বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের তিনি ছিলেন সফরসঙ্গী রিজার্ভ। ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে সব মিলিয়ে ৩৯৩ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ তিনি।বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের প্রথম চ্যালেঞ্জ প্রাথমিক পর্ব উতরে মূল পর্বে খেলা। তাদের গ্রুপে আছে শ্রীলঙ্কা, নামিবিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।