Friday, March 21, 2025
বাড়িখেলাপাকিস্তানকে উড়িয়ে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড

পাকিস্তানকে উড়িয়ে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৪ সেপ্টেম্বর: করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে একপেশে লড়াইয়ে ইংল্যান্ড জিতল ৬৩ রানে। সাত ম্যাচের সিরিজে সফরকারীরা এগিয়ে গেল ২-১ ব্যবধানে।এই সংস্করণে রানের দিক থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয় এটি। ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওভালে ৪৮ রানের জয় ছিল আগের রেকর্ড।ডাকেটের ৪২ বলে অপরাজিত ৭০ ও ব্রুকের ৩৫ বলে অপরাজিত ৮১ রানের ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২১ রানের পুঁজি গড়ে ইংল্যান্ড।পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ স্কোর এটি। গত বছর ট্রেন্ট ব্রিজে ২৩২ রান তাড়ায় ২০১ ছিল আগের সেরা। আর প্রথমে ব্যাটিং করে সর্বোচ্চ ছিল ওই সিরিজেই পরের ম্যাচের ২০০।রান তাড়ায় শুরু থেকে ধুঁকতে ধুঁকতে ৮ উইকেটে ১৫৮ রান করতে পারে পাকিস্তান। শান মাসুদের ৪০ বলে অপরাজিত ৬৬ রান ছাড়া উল্লেখ করার মতো কিছু করতে পারেননি আর কেউ।টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারেই ফিল সল্টকে হারায় ইংল্যান্ড। তবে অ্যালেক্স হেলসের জায়গায় সুযোগ পাওয়া জ্যাকস খেলেন দারুণ সব শট। তাতে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ইংল্যান্ড ১ উইকেট হারিয়ে তোলে ৫৭ রান।

তিনে নম্বরে নামা দাভিদ মালান এ দিনও তেমন কিছু করে দেখাতে পারেননি। ১৫ বলে ১৪ রান করা বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন উসমান কাদির। এই লেগ স্পিনার নিজের পরের ওভারে থামান জ্যাকসকে। ২২ বলে ৮ চারে ৪০ রান করেন ২৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।এরপরই ডাকেট ও ব্রুকের ৬৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৩৯ রানের বিস্ফোরক জুটিতে ইংল্যান্ড গড়ে রানের পাহাড়।কাদিরকে একই ওভারে দুই ছক্কা মেরে ডানা মেলে দেন ব্রুক। শাহনাওয়াজ দাহানিকে পরপর ছক্কা-চারে তিনি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন ২৪ বলে। ৩১ বলে নিজের প্রথম ফিফটি স্পর্শ করেন ডাকেট।শেষের আগের ওভারে দাহানিকে দুই চার ও এক ছক্কা হাঁকান ব্রুক। এই ওভারে আসে ১৯ রান। তাতে ইংল্যান্ড পেরিয়ে যায় দুইশ।ডাকেট ও ব্রুক জুটির ১৩৯ রান চতুর্থ উইকেটে ইংল্যান্ডের রেকর্ড। ২০১০ সালে দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষেই কেভিন পিটারসেন ও ওয়েন মর্গ্যান জুটির ১১২ রান ছিল আগের সর্বোচ্চ।৪ ওভারে ৬২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন দাহানি। টি-টোয়েন্টি ইনিংসে পাকিস্তানের কোনো বোলারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান দেওয়ার নজির এটি। ২০১৯ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান দিয়েছিলেন উসমান শিনওয়ারি।

জবাব দিতে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যে স্রেফ ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় পাকিস্তান। এই চার জনের কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বাবর আজম ৩ রানে ক্যাচ তুলে জীবন পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেরনি। ৮ রান করে মার্ক উডের বলে তিনি ক্যাচ দেন থার্ড ম্যানে।শুরু থেকে রানের জন্য সংগ্রাম করতে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান বোল্ড হয়ে যান রিস টপলির বলে। পরের দুই ওভারে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন হায়দার আলি ও ইফতিখার আহমেদ।পঞ্চম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন মাসুদ ও খুশদিল শাহ। খুশদিলকে (২১ বলে ২৯) ফিরিয়ে ৬২ রানের জুটি ভাঙেন লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। পরে এই লেগ স্পিনারের শিকার মোহাম্মদ নাওয়াজ।এক প্রান্তে একাই দলকে টানতে থাকা মাসুদ প্রথম ফিফটি পূর্ণ করেন ২৮ বলে। তার ৩ চার ও ৪ ছক্কায় গড়া ৬৫ রানের ইনিংসটি পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পারে শুধু।সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সফলতম বোলার মার্ক উড। ৮১ রানের ঝড়ো ইনিংসটির জন্য ম্যাচের সেরা অবশ্য ব্রুক।আগের দিন ১৯৯ রানের পুঁজি গড়েও বাবর ও রিজওয়ানের সামনে পাত্তাই পায়নি ইংলিশরা। পরদিনই তারা ঘুরে দাঁড়াল দোর্দণ্ড প্রতাপে।একই মাঠে আগামী রোববার হবে চতুর্থ ম্যাচ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ২২১/৫ (সল্ট ৮, জ্যাকস ৪০, মালান ১৪, ডাকেট ৭০*, ব্রুক ৮১*; হাসনাইন ৪-০-৩৬-১, নাওয়াজ ৪-০-৩৪-০, দাহানি ৪-০-৬২-০, রউফ ৪-০-৩৯-০, কাদির ৪-০-৪৮-২)

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৫৮/৮ (রিজওয়ান ৮, বাবর ৮, হায়দার ৩, মাসুদ ৬৫*, ইফতিখার ৬, খুশদিল ২৯, নাওয়াজ ১৯, কাদির ০, রউফ ৪, হাসনাইন ৬*; ডসন ১-০-৭-০, টপলি ৪-০-২২-১, উড ৪-০-২৪-৩, কারান ৪-০-৩৭-১, রশিদ ৪-০-৩২-২, মইন ৩-০-৩০-০)

ফল: ইংল্যান্ড ৬৩ রানে জয়ী

সিরিজ: ৭ ম্যাচের সিরিজের প্রথম তিনটির পর ২-১-এ এগিয়ে ইংল্যান্ড

ম্যান অব দা ম্যাচ: হ্যারি ব্রুক

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য