Thursday, November 13, 2025
বাড়িখেলাসিপিএলে আবারও চ্যাম্পিয়ন নাইট রাইডার্স

সিপিএলে আবারও চ্যাম্পিয়ন নাইট রাইডার্স

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, ২৩ সেপ্টেম্বর ।। শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে প্রতিপক্ষকে অল্পে আটকে রাখতে বল হাতে গুরুত্বপুর্ণ দুটি উইকেট নিলেন আকিল হোসেন। পরে রান তাড়ায় খেললেন ক্যামিও ইনিংস। গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে হারিয়ে রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হলো আকিলের দল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের ত্রয়োদশ আসরের ফাইনালে সেভাবে লড়াই জমাতে পারেনি ওয়ারিয়র্স। বোলারদের আধিপত্যের লড়াইয়ে ১২ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেটে জিতেছে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স।

প্রতিপক্ষের ১৩০ রান ১৮ ওভারেই টপকে গেছে ত্রিনবাগো। অবশ্য ত্রিনবাগোর রান তাড়ায় ১৫ ও ১৬তম ওভারের পাঁচ বলের মধ্যে তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে লড়াইয়ে নাটকীয়তা ফেরায় ওয়ারিয়র্স। ১১৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে কিছুটা শঙ্কায়ও পড়ে যায় ত্রিনবাগো। তখনই ক্রিজে যান আকিল হোসেন, দলের তখন ২২ বলে ১৫ রান প্রয়োজন। তবে এরপর আর দলকে দুর্ভাবনায় পড়তে দেননি আকিল। অষ্টাদশ ওভারের শেষ দুই বলে ছক্কা ও চার হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন তিনি। শেই হোপ ও শিমরন হেটমায়ারের উইকেট নেওয়ার পর, ব্যাট হাতে ৭ বলে ১৬ রান করে জয় নিয়ে ফেরেন আকিল। চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ত্রিনবাগোর সফলতম বোলার সৌরভ নেত্রাভালকার।

লো স্কোরিং ম্যাচে ত্রিনবাগোর পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন অ্যালেক্স হেলস। আরও তিনজন বিশের ঘরে যান। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় ওয়ারিয়র্স। আরও একবার শর্ট বলে সমস্যায় পড়তে দেখা যায় কুইন্টন স্যাম্পসনকে। আন্দ্রে রাসেলের শর্ট ডেলিভারিতে কাইরন পোলার্ডের হাতে শূন্য রানে ধরা পড়েন এই ওপেনার।

শেই হোপকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার বেন ম্যাকডারমট। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে তিনিও ফিরে যান। দ্রুত আরও তিন উইকেট পতনে বিপদে পড়ে যায় ওয়ারিয়র্স। ষষ্ঠ উইকেটে ইফতিখার আহমেদ ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের ব্যাটে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের জুটি পায় দলটি। প্রিটোরিয়াসকে (২৫) ফিরিয়ে মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠা ওই জুটি ভাঙেন নেত্রাভালকার। প্রিটোরিয়াসকে ফেরানোর মধ্যে দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৪০০ ক্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করেন পোলার্ড। এরপর দলের শেষ ওভারের প্রথম বলে ইফতিখারকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন বাঁ হাতি পেসার নেত্রাভালকার। ওয়ারয়র্সের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন ইফতিখার। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা দারুণ হয় ত্রিনবাগোর। কলিন মানরোর ঝড়ে তৃতীয় ওভারেই ৩৩ রানে পৌঁছে যায় তারা। তবে প্রিটোরিয়াসের ওই ওভারের চতুর্থ বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মানরো। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৫ বলে ২৩ রান করেন তিনি।

ক্রিজে বেশ ভোগান্তির পর পঞ্চম ওভারে প্রিটোরিয়াসের বলেই ফিরে যান নিকোলাস পুরান, ৯ বল খেলে ১ রান করতে পারেন তিনি। তিন ওভার পর ড্যারেন ব্র্যাভোকে বিদায় করেন লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। তবে লক্ষ্য কম হওয়ায় খুব বেশি ভাবতে হয়নি ত্রিনবাগোর। ছোট ছোট জুটিতে লক্ষ্যে এগিয়ে যায় তারা। তারপরও শেষ দিকে টপাটপ তিন উইকেট হারানোয় বেকায়দায় পড়তে পারতো দলটি। তবে অ্যালেক্স হেলসের বিদায়ের পর, ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে আর কোনো সমস্যায় পড়তে দেননি আকিল। ৩৪ রানে তিন উইকেট নিয়ে ওয়ারিয়র্সের সফলতম বোলার তাহির।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য