স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, ২০ সেপ্টেম্বর ।। জাতীয় দলের অধ্যায় চুকেবুকে গেছে বেশ আগেই। ক্লাব ফুটবলেও আপাতত ছিল না কোনো আশ্রয়। নতুন ঠিকানার পানে না ছুটে এবার পথচলাই থামিয়ে দিলেন জেরোম বোয়াটেং। পেশাদার ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী ডিফেন্ডার।
জার্মানির জার্সিতে সবশেষ দেখা গেছে তাকে ২০১৮ সালে। ক্লাব ক্যারিয়ারে সবশেষ খেলছিলেন অস্ট্রিয়ান ক্লাব লাস্ক লিন্সে। ক্লাবটির সঙ্গে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি ছিল তার। তবে গত ১৯ অগাস্ট পারস্পরিক সমঝোতায় সেই চুক্তি শেষ হয়ে যায়। ঠিক এক মাস পর বিদায়ের ঘোষণা দিলেন ৩৭ বছর বয়সী ডিফেন্ডার।
পেশাদার ফুটবলে ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে সাতটি ক্লাবে খেলেছেন বোয়াটেং। তবে ফুটবলবিশ্বে তার মূল পরিচয় বায়ার্নে বোয়াটেং হিসেবেই। ২০১১ সালে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে জার্মানির সবচেয়ে বড় ক্লাবে যোগ দেন তিনি। এই ক্লাবে ১০ বছরে ৯টি বুন্ডেসলিগা, দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও দুটি ক্লাব বিশ্বকাপসহ ২২টি ট্রফি জয়ের স্বাদ পান তিনি। জার্মানির হয়ে খেলেছেন তিনি ৭৬ ম্যাচ। ব্রাজিলে ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী দলটির অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন এই সেন্টারব্যাক। ২০১০ বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়া জার্মানি দলেও তিনি ছিলেন।
২০২১ সালে বায়ার্ন ছাড়ার পর দুই মৌসুম ছিলেন তিনি অলিম্পিক লিওঁতে। পরে ইতালির ক্লাব সালেরনিতানা হয়ে গত বছর যোগ দেন লাস্কে। গত এক মাস ধরে যদিও তার ক্লাব নেই, ক্যারিয়ার অনিশ্চয়তায় থাকারই কথা এই বয়সে। তবে বিদায়বেলায় দাবি করলেন, বাধ্য হয়ে নয়, বরং মন থেকে তৈরি হয়েই অবসর নিয়েছেন।
“দীর্ঘদিন খেলেছি আমি, বড় বড় ক্লাবের হয়ে খেলেছি, আমার দেশের হয়ে খেলেছি। পথচলায় শিখেছি, জিতেছি, হেরেছি, সব মিলিয়ে সমৃদ্ধ হয়েছি।”
“ফুটবল আমাকে অনেক কিছুই দিয়েছে, তবে এখন সময় সামনে তাকানোর। সেটা এই কারণে নয় যে আমি বাধ্য হচ্ছি, বরং এই কারণে যে আমি এখন তৈরি। যে দলগুলি, সমর্থকেরা ও যে মানুষগুলি আমাকে এগিয়ে নিয়েছে, এবং সবকিছুর ওপরে আমার পরিবার, সন্তানেরা, সবার প্রতি কৃতজ্ঞ আমি। তাদেরকে সবসময় পাশে পেয়েছি।” সাবেক সঙ্গিনীর ওপর পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে গত বছর তাকে জরিমানা করা হয় ও সতর্ক করা হয়। তিনি যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

