স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১১ জুন : ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিলটি বর্তমানে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। তবে রিপোর্ট বলছে, ২০৩৪ সালের আগে ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতি লাগু হওয়া সম্ভব নয়। সম্প্রতি এমনই দাবি করলেন যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রেমপ্রকাশ চৌধুরি। এর অর্থ, আগামী পাঁচ বছর অর্থাৎ বর্তমান লোকসভা পূর্ণ মেয়াদ পর্যন্ত থাকবে।
প্রসঙ্গত, আগামী লোকসভা নির্বাচন হবে ২০২৯ সালে। সংসদের নিম্নকক্ষে নতুন নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ হবে পরবর্তী ৫ বছর অর্থাৎ ২০৩৪ সাল পর্যন্ত। ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিলটি পাস হলেও ততদিন পর্যন্ত আইন কার্যকর হতে পারবে না। ২০৩৪ সালের প্রথমার্ধে একসঙ্গে লোকসভা-বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। পরবর্তীতে পুরসভা-পঞ্চায়েত নির্বাচনকেও এর আওতায় আনা হবে। জানা যাচ্ছে, ১২৯তম সংশোধনীর মাধ্যমে একসঙ্গে সমস্ত নির্বাচন করাতে তৎপর কেন্দ্র সরকার। আর এই সংশোধনীতেই আপত্তি বিরোধীদের। তাঁদের অভিযোগ, এই সংশোধনী যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। যদি, ২০৩৪ সালে ‘এক দেশ এক ভোট’ চালু করা যায়, সে ক্ষেত্রে ২০২৯ সালের পরবর্তীকে যে কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে, তার মেয়াদ কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
‘এক দেশ, এক ভোট’ বিলের খসড়া অনুযায়ী, কখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে যদি বিধানসভা বা লোকসভা ভেঙে যায়, তা হলে শুধুমাত্র মেয়াদের বাকি সময়টুকুর জন্য লোকসভা বা বিধানসভা উপনির্বাচন হবে। তার পর থেকে সমস্ত স্তরের নির্বাচন একসঙ্গে হবে। তাতে বিপুল খরচে রাশ টানা যাবে বলে যুক্তি সরকারপক্ষের। আবার বিরোধীদের অভিযোগ, বিধানসভা-লোকসভা-পুরসভা-পঞ্চায়েত ভোট একসঙ্গে হলে গণতন্ত্রের বৈচিত্র নষ্ট হবে। একেকটা নির্বাচন হয় একেকটা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। সেই সুযোগ হাতছাড়া হবে আমজনতার। ফলে এই বিল পাস হয়ে আইন বলবৎ হলেও ২০৩৪ সালের আগে একসঙ্গে ভোটের সুযোগ নেই।