স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৭ মে : অপারেশন সিঁদুরের পর এবার পাক মদতপুষ্ট খলিস্তানিদের কোমর ভাঙতে অ্যাকশনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। খলিস্তানি জঙ্গি সংগঠন বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের সদস্যদের খুঁজতে দেশের ১৫টি জায়গায় চলেছে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান। গ্যাংস্টার হ্যাপি পাসিয়ানের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজতে এই অভিজান বলে খবর। যার যোগ রয়েছে পাকিস্তানের খলিস্তানি জঙ্গি হরবিন্দর সিং ওরফে রিন্দা এবং আইএসআইয়ের সঙ্গেও। যাদের মদতে গত কয়েক মাসে পাঞ্জাবে একের পর গ্রেনেড হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ।
গত বছরের ডিসেম্বরে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার এক থানায় গ্রেনেড হামলা হয়। যার সঙ্গে যোগ ছিল হরবিন্দর সিংয়ের। সেই থেকেই এনআইএয়ের হিটলিস্টে রয়েছে হরপ্রীত সিং। বিকেআইয়ের অন্যান্য সদস্যদের খুঁজতে গতকাল অভিযানে নামে তদন্তকারীরা। চিরুনি তল্লাশি চলে গুরুদাসপুর, বাটালা, অমৃতসর এবং কাপুরথালা জেলায়। সেখানকার বেশ কিছু সন্দেহজনক জায়গা থেকে মোবাইল এবং ডিজিটাল ডিভাইস-সহ অপরাধমূলক উপকরণ এবং বিভিন্ন নথি জব্দ করেছেন তাঁরা।
এই হ্যাপি পাসিয়ানের সঙ্গে যোগ রয়েছে আমেরিকার খলিস্তানি জঙ্গি হরপ্রীত সিংয়েরও। গত এপ্রিল মাসেই এনআইএ-র হিটলিস্টে থাকা বব্বর খালসা সংগঠনের সদস্য হরপ্রীতকে আমেরিকায় গ্রেপ্তার করে এফবিআই। গত ৭ মাসে পাঞ্জাবে কমপক্ষে ১৬টি গ্রেনেড হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা মনোরঞ্জন কালিয়ার বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনা। গত ৭ এপ্রিল রাতে পাঞ্জাবের জলন্ধরে নেতার বাড়ির সামনে বোমা ছোড়া হয়। এমনই ১৪টি বোমাবাজির ঘটনায় উঠে এসেছিল হরপ্রীত ওরফে হ্যাপি পাসিয়ানের নাম। এছাড়া চলতি বছরে চণ্ডীগড় গ্রেনেড হামলার চার্জশিটেও এনআইএ হরপ্রীত-সহ মোট চারজনের নাম নথিভুক্ত করেছিল। দীর্ঘ দিন ধরে এই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে এনআইএ ও পাঞ্জাব পুলিশ।
উল্লেখ্য, বিদেশের মাটিতে বিশেষ করে কানাডা, আমেরিকা ও ব্রিটেনে খলিস্তানি জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। মার্কিন মুলুকে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ভারতের কুখ্যাত খলিস্তানি জঙ্গিদের লিস্ট ইতিমধ্যেই আমেরিকায় পাঠানো হয়েছে। এদিকে, কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনিও ভারতের দিকে বন্ধুত্বের আশ্বাস দিয়ে খলিস্তানি চরমপন্থা দমনের বার্তা দিয়েছেন।