স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৬ মে : ইন্দিরা গান্ধী আমেরিকার সঙ্গে বিবাদের পর প্রথম পরামর্শ নিয়েছিলেন বাজপেয়ীর কাছে। রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন সেই বাজপেয়ী। সেই সৌজন্য আজকের রাজনীতিতে বিরল। কিন্তু ভারতীয় গণতন্ত্রে বারবার দেখা গিয়েছে, জাতীয় স্বার্থে একজোট হয়ে গিয়েছে শাসক ও বিরোধী শিবির। অপারেশন সিঁদুরের পরও সেই একই ছবি দেখা যেতে চলেছে।
পহেলগাঁও সন্ত্রাস এবং অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের জঙ্গিবাদের মুখোশ গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চায় ভারত। শুধু রাষ্ট্রসংঘ নয়, সেই লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভারত থেকে প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে। ওই প্রতিনিধিদলে শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরেরই সাংসদরা থাকবেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, পাক সন্ত্রাস বিরুদ্ধে ভারত যে একজোট সেটা বুঝিয়ে দিতেই প্রতিনিধি দলে রাখা হচ্ছে বিরোধী দলের সাংসদদের।
সূত্রের দাবি, ভারতের প্রতিনিধি দল যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মতো দেশে। প্রতিটি প্রতিনিধি দলে ৫-৬ জন করে সাংসদ থাকবেন। শাসকদলের পাশাপাশি বিরোধী দলের সদস্যদেরও রাখা হবে ওই প্রতিনিধি দলে। তবে নেতৃত্বে থাকবেন এনডিএর সিনিয়র সাংসদরা। পুরো বিষয়টির ব্যবস্থাপনা করছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। আগামী ২২মে থেকে ওই অভিযান শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সাংসদদের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলা থেকে অপারেশন সিঁদুর পর্যন্ত, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিটি ইস্যুতেই বিরোধীরা সরকারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে বিরোধী শিবির। সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নও তোলা হয়নি। এবার বিদেশের মাটিতে দেশের পক্ষ রাখতে ‘বিপক্ষ’কেই ভরসা করতে চলেছে মোদি সরকার।