নয়াদিল্লি, ৩ মে (হি.স.): নাইট ক্লাবের রঙিন আলোয় হঠাৎই ভেসে উঠল একটি মুখ। তিনি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর একটি নাইটক্লাবে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা গিয়েছে রাহুলকে। মঙ্গলবার সেই ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ভিডিয়োটি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হুসেন বলেছেন, “প্রতিদিনই সে পার্টি করে, কেউ তাঁকে বাধা দেয় না।” আবার বিজেপি সাংসদ রাজ্যবর্ধন রাঠোর কটাক্ষের সুরে বলেছেন, “রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পার্ট-টাইম রাজনীতি করেন।” রাহুলের হয়ে সওয়াল করেছে তাঁর দল। কংগ্রেস মুখপাত্র ও দলের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সুরেজওয়ালা বলেছেন, “বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়া কী অপরাধ?”
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য একটি ভিডিয়ো টুইটারে আপলোড করেছেন, তাতে লিখেছেন, ‘গোটা মুম্বই যখন অবরুদ্ধ তখন রাহুল গান্ধী ছিলেন নাইটক্লাবে। যখন তাঁর দলে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটছে, আবারও তাঁকে দেখা গেল নাইটক্লাবে। এ ব্যাপারে তিনি ধারাবাহিক।’ এই ভিডিও নিয়ে আলোড়ন শুরু হতেই মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরেজওয়ালা। তিনি বলেছেন, “রাহুল গান্ধী প্রতিবেশী দেশ নেপালে গিয়েছিলেন একজন বন্ধুর প্রাইভেট বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে, যিনি একজন সাংবাদিকও হতে পারেন…পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব থাকা ও বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া আমাদের সংস্কৃতি ও সভ্যতার বিষয়।” রণদীপ সুরেজওয়ালা আরও বলেছেন, “বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়া আমাদের দেশে এখনও অপরাধ হয়ে ওঠেনি। হয়তো এবার বিজেপি সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিয়েতে যোগ দেওয়া বেআইনি এবং বন্ধু থাকা অপরাধ।”
রাহুল গান্ধীর নাইটক্লাবে যাওয়াকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হুসেন বলেছেন, “আমি ভিডিওটি এখনও (কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাম্প্রতিক ভাইরাল ভিডিও)। সে প্রতিদিন পার্টি করে, কেউ তাঁকে বাধা দেয় না। সংবিধানে এমন কোনও নিয়ম নেই যেখানে কাউকে পার্টি করা থেকে বিরত রাখা যায়। তিনি প্রচুর পার্টি করেন এবং তাই দলের জন্য অনেক কম কাজও করেন।” বিজেপি সাংসদ রাজ্যবর্ধন রাঠোর কটাক্ষের সুরে বলেছেন, “রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পার্ট-টাইম রাজনীতি করেন।”