স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১১ মার্চ : আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। তাই এই পথই বেছে নিতে বাধ্য হলেন। হায়দরাবাদে একই পরিবারের চার জনের মৃত্যুতে স্তম্ভিত পাড়াপড়শিরা। মৃতেরা হলেন, চন্দ্রশেখর রেড্ডি (৪৪), তাঁর স্ত্রী কবিতা (৩৫) এবং তাঁদের দুই সন্তান, যাদের বয়স ১০ এবং ১৩ বছর।
ঘরের ভিতরে টেবিলে রাখা একটি চিঠি। কিছুটা দূরে নিথর হয়ে পড়ে ছিল স্বামী-স্ত্রীর দেহ। তার ঠিক পাশের ঘরে বিছানায় পড়ে দম্পতির দুই সন্তানের দেহ উদ্ধার হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘর থেকে যে চিঠি উদ্ধার হয়েছে তাতে লেখা, ‘‘আমার হাতে আর কোনও পথ ছিল না। তাই নিজেদের জীবন শেষ করে দিতে বাধ্য হলাম। শারীরিক আর মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত। ডায়াবিটিস, স্নায়ু আর কিডনির অসুখ সেই যন্ত্রণাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। তাই আর পারলাম না। আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো।’’
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, একটি বেসরকারি কলেজে শিক্ষকতার কাজ করতেন চন্দ্রশেখর। কিন্তু ২০২৩ সালে তাঁর চাকরি চলে যায়। তার পরই রেড্ডি পরিবারে নেমে আসে আর্থিক অনটন। দিন দিন সেই বোঝা আরও বাড়ছিল। ফলে আরও আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে পড়ছিল রেড্ডি পরিবার। মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছিল রেড্ডি দম্পতিকে। কী ভাবে সন্তানদের পড়াশোনা চালাবেন, কী ভাবে সংসার চলবে, তার মধ্যে চন্দ্রশেখরের শারীরিক অসুস্থতা, সব মিলিয়ে ক্রমে বিষণ্ণতায় ডুবে যাচ্ছিল গোটা পরিবার। তবে ধারদেনা ছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়। তদন্তকারীরা আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, পুত্র বিশ্বন এবং কন্যা শ্রীতাকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর আত্মঘাতী হয়েছেন দম্পতি। বিশ্বন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। শ্রীতা পড়ত নবম শ্রেণিতে।