স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১১ মার্চ : চাকরির টোপ দিয়ে মায়ানমারে নিয়ে গিয়ে নিয়োগ করা হয়েছিল কল সেন্টারে। এইসব ভারতীয়দের ব্যবহার করে ভারতে চালানো সাইবার প্রতারণা চক্র। দিনের পর দিন এই সাইবার প্রতারকদের হাতে ক্রীতদাসের মতো বন্দি থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন ২৮৩ জন ভারতীয়। সোমবার মায়ানমার ও থাইল্যান্ড প্রশাসনের উদ্যোগে বায়ুসেনার বিমানে করে তাঁদের ভারতে ফেরানো হয়েছে।
বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে উদ্ধার হওয়া ২৮৩ জন ভারতীয়ের মধ্যে ৪২ জনই তেলেগুভাষী। ভালো চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এদের নিয়োগ করা হয়েছিল থাইল্যান্ড ও মায়ানমারে। সেখানে ভুয়ো কল সেন্টারগুলিতে নিয়োগ করা হয় তাঁদের। সাইবার প্রতারণার মাধ্যমে ভারতীয়দের লুঠ করতে ব্যবহার করা হতো এদের। জোর করে অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য করা হয়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই তৎপর হয় বিদেশমন্ত্রক। যোগাযোগ করা হয় মায়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে। সক্রিয় হয় থাইল্যান্ড, মায়ানমারে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। ২৮৩ জনকে উদ্ধার করে সোমবার বায়ুসেনার বিমানে দিল্লি পাঠানো হয় তাঁদের।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডের গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল রিজিয়ন বা সোনালি ত্রিভুজ এলাকা অপরাধের জন্য কুখ্যাত। মায়ানমার, লাওস ও থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী প্রায় ৯ লক্ষ ৫০ হাজার বর্গ কিলোমিটার অঞ্চলে বিস্তৃত এই পাহাড়ি এলাকা। ভয়ংকর এই অপরাধ চক্র চালাতে এই অঞ্চলকেই বেছে নিয়েছিল অপরাধীরা। এখান থেকেই ভারতের নানা প্রান্তে ফোন করে পাতা হত প্রতারণার ফাঁদ। আর আগে একাধিক ডিজিটাল অ্যারেস্টের তদন্তের নেমে এই অঞ্চলের খোঁজ পেয়েছিল ভারতের তদন্তকারী বিভাগ। এর পর ধাপে ধাপে প্রকাশ্যে আসে গোটা বিষয়। জানা যায় ভারতীয়দের প্রতারণার ফাঁদে ফেলতে ব্যবহার করা হত ভারতীয়দের। একবার এদের ফাঁদে পড়লে মুক্তির কোনও রাস্তা থাকত না। কার্যত ক্রীতদাস করে রাখা হত তাঁদের। অবশেষে এই চক্রের ফাঁদ থেকে ২৮৩ জনকে উদ্ধার করল সরকার।