স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৪ ফেব্রুয়ারি : প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ১৪০টি সমাজমাধ্যম হ্যান্ডলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। গত ১৩ জানুয়ারি শুরুর পর থেকে বিভিন্ন কারণে বিতর্কে জড়িয়েছে কুম্ভমেলার ব্যবস্থাপনা। কখনও পদপিষ্টের জেরে পুণ্যার্থীদের মৃত্যু, কখনও অগ্নিকাণ্ড— সমালোচনার মুখে পড়েছে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভাতেও এ নিয়ে কথা হয়েছে। জবাব দিতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে কুম্ভমেলা। ওই দিন শিবরাত্রির ‘শাহি স্নান’ রয়েছে কুম্ভে। গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী নদীর সঙ্গমে ওই দিনেও প্রচুর পুণ্যার্থীর ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কুম্ভের ব্যবস্থাপনার দিক থেকে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে আরও একটি পরীক্ষার দিন। সম্প্রতি প্রয়াগরাজে সঙ্গমের জল স্নানের জন্য কতটা উপযুক্ত, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। জাতীয় পরিবেশ আদালতে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। কুম্ভমেলা শুরুর ঠিক আগে জলের নমুনা পরীক্ষা করে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে রিপোর্টে। যদিও যোগী উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে বিধানসভায় দাবি করেছেন, সঙ্গমের জল স্নানযোগ্য।
এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণ জানান, বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ১৪০টি সমাজমাধ্যম হ্যান্ডলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১৩টি এফআইআর রুজু হয়েছে। ডিআইজির বক্তব্য, ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়ানোর চেষ্টা হলেও কুম্ভমেলা ব্যাপক ভাবে সফল হয়েছে। তবে কোন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।
বস্তুত, এর আগে ট্রেনে আগুন ধরার দাবি-সহ কিছু ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ৩৪টি সমাজমাধ্যম হ্যান্ডলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে পুলিশ। কুম্ভগামী একটি ট্রেনে ১৪ ফেব্রুয়ারি আগুন ধরে যায় বলে সমাজমাধ্যমে ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে ওই ঘটনাটি ২০২২ সালে বাংলাদেশের ঢাকা এবং সিলেট সংযোগকারী লাইনের একটি ট্রেনের।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, শিবরাত্রির জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। কুম্ভমেলার আশপাশে কোথাও যাতে যানজট তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতেও পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ডিআইজির কথায়, “যতই ভিড় হোক না কেন, আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছি।”