স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১০ ফেব্রুয়ারি : লজ্জার হারের পর দিল্লির মসনদ খালি করতে হয়েছে আম আদমি পার্টিকে। দলের রাজনীতির ভিত দিল্লি থেকে শিকড় উপড়ে যাওয়ায় প্রভাব সরাসরি পড়েছে পাঞ্জাবে। কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, পাঞ্জাবের আপ বিধায়কেরা দলবদলের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। আম আদমি পার্টি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও পাঞ্জাব সামলাতে কোমর বেঁধে নামলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পাঞ্জাবের আপ বিধায়কদের জরুরি ভিত্তিতে দিল্লি তলব করলেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, দিল্লির হারের পর আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডেকেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যেখানে পাঞ্জাবের সব বিধায়কদের উপস্থিত থাকার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কেন এই বৈঠক ডাকা হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছুই জানানো হয়নি। যদিও বিষয় যে গুরুতর তা দলের তৎপরতায় স্পষ্ট। গত ৬ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবের মন্ত্রিসভার বৈঠক দিল্লি ভোটের কারণে পিছিয়ে করা হয়েছিল ১০ ফেব্রুয়ারি। তবে সেই বৈঠক তড়িঘড়ি পিছিয়ে নতুন তারিখ দেওয়া হয়েছে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি। সমস্ত জরুরি কাজ ফেলে মঙ্গলবারের এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা বাড়িয়েছে।
দিল্লি ভোটের ফলপ্রকাশের পর পাঞ্জাবের আপে বিরাট ভাঙনের ইঙ্গিত দেন কংগ্রেস সাংসদ সুখজিন্দর সিং রণধাবা। তিনি জানিয়েছিলেন, ”সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে পাঞ্জাবকে। কারণ এখানে আপের মধ্যে বিরাট ভাঙন দেখা দিয়েছে। কম করে ৩৫ জন বিধায়ক দলবদলের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। দিল্লির ফলের এবার একে একে প্রকাশ্যে আসবে পাঞ্জাবে আপ সরকারের বিরাট দুর্নীতির সমস্ত তথ্য।” কংগ্রেস সাংসদের এই দাবির পর পাঞ্জাবে রাজনৈতিক চাপানউতোর চরম আকার নেয়। এই পরিস্থিতিতেই এবার দিল্লিতে জরুরি বৈঠক ডাকলেন কেজরিওয়াল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জাতীয় দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করলেও, দিল্লি মাটি আপের রাজনীতির মূল ভিত্তি। একদশকের বেশি সময় ধরে দিল্লি শাসনের পর অবশেষে বিজেপির কাছে শোচনীয় পরাজয় হয়েছে আপের। ৭০ আসনের দিল্লিতে মাত্র ২২ আসন পেয়েছে আপ। অন্যদিকে বিজেপির দখলে গিয়েছে ৪৮ আসন। হেরেছেন খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। স্বাভাবিকভাবের দিল্লির ধাক্কা কাঁপন ধরেছে পাঞ্জাবে। পরিস্থিতি সামাল দিতেই এবার তড়িঘড়ি বৈঠক ডাক্লেন কেজরি।