স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০৭ ফেব্রুয়ারি : সীমান্তে সেনা ক্যাম্পে হামলার ছক বানচাল। অনুপ্রবেশ চলাকালীন জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার কৃষ্ণাঘাঁটি সেক্টরে ৭ জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনা। এই ৭ জনের মধ্যে ৩ জন পাকিস্তান সেনাকর্মী ব্যাট -এর সদস্য। নিরাপত্তা বাহিনীর অনুমান, নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে সেনা ক্যাম্পে হামলার ষড়যন্ত্র ছিল জঙ্গিদের। সূত্রের খবর, গত ৪-৫ ফেব্রুয়ারি রাতে চলে এই অভিযান।
সীমান্ত পেরিয়ে গোপনে ভারতের সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালাতে অত্যন্ত দক্ষ এই ব্যাট সদস্যরা। কয়েক বছর আগেও এভাবে ভারতের মাটিতে বহু হামলা চালিয়েছে তারা। সম্প্রতি তেমনই হামলার ছক কষেছিল এই পাকিস্তান সেনা। জঙ্গি ও ব্যাট সদস্য মিলে সীমান্ত পারের চেষ্টা চালায়। এলওসি-তে সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসতেই তৎপর হয়ে ওঠেন ভারতীর জওয়ানরা। সন্দেহভাজন জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। হামলায় মৃত্যু হয় ৭ জনের। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, একাধিক জঙ্গি ওইদিন সীমান্ত পারের চেষ্টা চালাচ্ছিল। ৭ জঙ্গি মারা যেতেই বাকিরা পাকিস্তানের দিকে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর ৫ ফেব্রুয়ারি দিনটি ‘কাশ্মীর একতা দিবস’ হিসেবে পালন করে পাকিস্তান। এই দিনে অধিকৃত কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গি সংগঠনের উপস্থিতিতে রচিত হয় ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্র। বিশেষ এই দিনেই এহেন অনুপ্রবেশের ব্যর্থ চেষ্টা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। অন্যদিকে, এই দিনে লাহোরে আয়োজিত এক জনসভায় ভারত বিরোধী উস্কানি দিতে শোনা গিয়েছে হাফিজ সইদের পুত্র তলহা সইদকে। ওই সভা থেকে জঙ্গির পুত্র বলেন, আমি কাশ্মীরকে স্বাধিন করব। শুধু তাই নয়, ব্যাপক ভারত বিরোধী উস্কানি ও নাটকীয় প্রতিশ্রুতি নিতে দেখা যায় বহু জঙ্গিকে। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বর্তমানে পাকিস্তানের জেলে বন্দি রয়েছে জঙ্গি হাফিজ সইদ। এই মঞ্চ থেকে পাক সরকারের কাছে তলহা আবেদন জানায় তাঁর বাবাকে মুক্ত করার জন্য।