স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৫ ডিসেম্বরঃ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে ইন্ডিয়া জোটে বড়সড় ফাটল! সূত্রের দাবি, সবচেয়ে বড় শরিক কংগ্রেসকে ইন্ডিয়া জোট থেকেই ছেঁটে ফেলতে চায় দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টি। এ নিয়ে জোটের অন্যান্য আঞ্চলিক শরিকদের সঙ্গে আলোচনা চাইছে আপ, এমনটাই দাবি একাধিক সংবাদমাধ্যমের।
আসলে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে সম্মুখসমরে নেমে পড়েছে আপ এবং কংগ্রেস। একদিন আগেই দিল্লির কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে কড়া ভাষায় নিশানা করেছেন। তাঁর দাবি, কেজরিওয়ালকে যতবার ‘মউকা’ দেওয়া হয়েছে, ততবারই তিনি ‘ধোঁকা’ দিয়েছেন। মাকেন দাবি করেছেন, ২০১৩ সালে কেজরিওয়ালকে সমর্থন করা কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। সেটাই দিল্লিতে কংগ্রেসের পতনের সবচেয়ে বড় কারণ। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ফর্জিওয়াল’ বলে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। এমনকী, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে খোদ শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিতকে প্রার্থী করা হয়েছে।
যেভাবে ইন্ডিয়া জোটের শরিক কংগ্রেস সরাসরি কেজরিওয়ালকে আক্রমণ করছে, সেটা মেনে নিতে নারাজ আপ। সূত্রের খবর, ক্ষুব্ধ আপ এবার চাইছে ইন্ডিয়া জোট থেকে পুরোপুরি কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে একটি জোট গঠন করতে। যা নিয়ে অন্য দলগুলির সঙ্গে আলোচনা চায় তারা।
এমনিতেই এরাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেসের নেতৃত্ব মানতে অস্বীকার করেছে। অন্য শরিকদের সঙ্গেও কংগ্রেসের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে উপনির্বাচন ঘিরে সপা-র সঙ্গে কংগ্রেসের দূরত্ব বেড়েছে। মহারাষ্ট্রেও মহাবিকাশ আগাড়ির মধ্যে সুসম্পর্ক আগের মতো নেই। সব মিলিয়ে ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেস আগে থেকেই বেশ চাপে ছিল। এবার সেই চাপ আরও খানিকটা বাড়ল। যদিও আপের এই দাবি শেষ পর্যন্ত অন্যান্য শরিক দল মানবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। তাছাড়া কংগ্রেসকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে সর্বভারতীয় স্তরের জোটের কথা ভাবাটা কতটা যুক্তিযুক্ত সেটা নিয়েও সংশয় রয়েছে।