স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,৩০ নভেম্বর : বাংলাদেশের হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে গর্জে উঠল আরএসএস। পড়শি দেশে অমানবিক অত্যাচার হচ্ছে সংখ্যালঘুদের উপর। ভারত সরকারের উচিত, হিন্দুদের বাঁচাতে সম্ভাব্য সমস্তরকম পদক্ষেপ করা। বিবৃতি দিয়ে আরজি জানাল সংঘ।
আরএসএসের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলে হয়েছে, “বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দু-সহ অন্য সংখ্যালঘুদের উপর কট্টরপন্থী ইসলামিক মৌলবাদীরা খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ চালাচ্ছে সেটা ভীষণ উদ্বেগজনক। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এই হিংসার নিন্দা করছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর ঘৃণ্য এই আক্রমণ রুখতে কোনও পদক্ষেপ না করে সেদেশের সরকার ও অন্যান্য এজেন্সি নীরব দর্শকের ভূমিকায়। বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর নতুন করে অন্যায় এবং অবিচারের স্রোত বয়ে যাচ্ছে।”
চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গেও বাংলাদেশ সরকারকে তুলোধোনা করেছে আরএসএস। সংঘের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “চিন্ময় কৃষ্ণ দাস শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন। যেভাবে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে সেটা অন্যায়। সংঘ বাংলাদেশ সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছে, দ্রুত হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ হোক। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক।”
আরএসএস মনে করছে, বাংলাদেশের হিন্দুদের বাঁচাতে ভারত সরকারের আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া উচিত। সংঘের ওই বিবৃতিতে ভারত সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, “ভারত সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর নির্যাতন রুখতে সম্ভাব্য সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে বিশ্বমঞ্চে এই নারকীয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে। এই সংকটের সময়ে ভারত-সহ সমস্ত আন্তর্জাতিক মঞ্চের উচিত বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানো। বিশ্বভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার জন্য সব দেশের সরকারের এগিয়ে আসতে হবে।”
হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনে সংখ্যালঘু নির্যাতন লাগামছাড়া আকার নিয়েছে বাংলাদেশে। পরিস্থিতি শোধরাতে কোনও উদ্যোগ তো দূর, নয়া আইন এনে এবার বাংলাদেশের সংখ্যালঘু মুখ সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। অভিযোগ, বর্তমানে পড়শি দেশে সংখ্যালঘুদের রীতিমতো নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে বাংলাদেশিদের। সেটারই নিন্দা করল আরএসএস।