স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৮ নভেম্বর : পর পর তিন দিন। ফের উত্তপ্ত জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা। কার্যত হাতাহাতি বিধায়কদের। শেষমেশ মার্শাল ডেকে জনাকয়েক বিজেপি বিধায়ককে বিধানসভা কক্ষ থেকে বের করে দিতে হল।
৩৭০ ইস্যুতে গত তিনদিন ধরেই তুলকালাম পরিস্থিতি জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায়। বুধবার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির ন্যশানাল কনফারেন্স সরকারের তরফে ৩৭০ ধারা ফেরানোর দাবিতে বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পাশ করানো হয়। উপত্যকায় বিশেষ মর্যাদা ফেরানো নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু হোক। এই মর্মে প্রস্তাব পাশ করায় ওমর আবদুল্লার সরকার। ওই প্রস্তাবে বলা হয়, জাতীয় সংহতির কথা মাথায় রেখে এবং একই সঙ্গে কাশ্মীরবাসীর স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখতে এই নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার কাশ্মীর বিধানসভায় ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির প্রতিবাদে একটি ব্যানার নিয়ে হাজির হন বারামুলার সাংসদ তথা আওয়ামি ইত্তিহাদ পার্টির প্রধান ইঞ্জিনিয়ার রশিদের ভাই খুরশিদ আহমেদ শেখ। ওই ব্যানারে দুটি দাবি লেখা ছিল। ৩৭০ ধারা পুনর্বহাল করতে হবে এবং রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে খুরশিদ আহমেদ শেখের ওই ব্যানার প্রদর্শনে আপত্তি জানায় বিজেপি। সেই নিয়ে বৃহস্পতিবারই রীতিমতো হাতাহাতি হয় কাশ্মীর বিধানসভায়। শেষমেশ স্পিকার আব্দুল রহিম অধিবেশন মূলতুবি করে দেন।
শুক্রবার সকালে বিধানসভা অধিবেশন শুরু হতেই ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যে প্রস্তাব বুধবার পাশ হয়েছিল, সেটা প্রত্যাহারের দাবিতে ওয়েলে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। পালটা নেমে পড়েন নির্দল এবং ইঞ্জিনিয়ার রশিদের দলের বিধায়ক খুরশিদ আহমেদ শেখ। বাধ্য হয়ে স্পিকার তাঁদের মার্শাল দিয়ে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শেষ পর্যন্ত এদিন ফের অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে হয়।