স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১ নভেম্বর : ওড়িশা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা নবীন পট্টনায়েকের নিরাপত্তা কমাল সে রাজ্যের সরকার। নবীন ওড়িশার পাঁচ বারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। চলতি বছরেই নবীনদের ক্ষমতাচ্যুত করে ওড়িশায় সরকার গঠন করেছে বিজেপি। এত দিন রাজ্য সরকারের ‘জ়েড’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেতেন তিনি। এ বার তা কমিয়ে ‘ওয়াই’ ক্যাটেগরি করা হয়েছে। বিজু জনতা দল (বিজেডি)-এর প্রধান নবীনের সঙ্গে এখন থেকে থাকবেন শুধুমাত্র দু’জন কনস্টেবল। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতেই নবীনের নিরাপত্তা কমানো হয়েছে।
ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, সাধারণত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দু’জন নিরাপত্তাকর্মী থাকেন। এর পর কখনও প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। বিরোধী দলনেতা হিসাবে যখন তিনি ভুবনেশ্বরের বাইরে কোথাও যাবেন, তখন স্থানীয় থানা থেকেই প্রয়োজন অনুসারে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। যদিও পিটিআই জানিয়েছে, নবীন ব্যক্তিগত ভাবে দু’জন প্রাক্তন সিনিয়র পুলিশ আধিকারিককে নিরাপত্তার কাজে নিযুক্ত করেছেন। উভয়েই সম্প্রতি সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নবীন তাঁর বাসভবন ‘নবীন নিবাস’-এর নিরাপত্তার দায়িত্বেও প্রচুর পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকতেন। তিনটি শিফ্টে ২৬৮ জন পুলিশকর্মী কর্মরত থাকতেন তাঁর বাসভবনে। তবে এ বছরের বিধানসভা ভোটের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। প্রায় আড়াই দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা নবীনদের দলকে হটিয়ে নতুন সরকার গঠন করে বিজেপি। এর পরই নবীন ও তাঁর বাড়ির নিরাপত্তা কমিয়ে আনা হয়েছিল। সর্বসাকুল্যে ২৩ জন নিরাপত্তাকর্মী পেতেন তিনি। এ বার তা আরও কমিয়ে আনল ওড়িশা সরকার।
প্রসঙ্গত, গত বছরের সেপ্টেম্বরেই নবীনের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী গঠন করেছিল তৎকালীন বিজেডি সরকার। বৃহস্পতিবার ওড়িশার সরকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা কমিয়ে আনার বিষয়ে বিশেষ কিছু মন্তব্য করতে চাইছে না বিরোধী শিবির। বিজেডির নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, নবীনকে কতটা নিরাপত্তা দেওয়া দরকার, তা নিয়ে সাধারণ মানুষই মতামত দিক।