স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২১ জুন : তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম কাশ্মীর সফরেই বড় ঘোষণা নরেন্দ্র মোদির । প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, “শীঘ্রই পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে জম্মু ও কাশ্মীর। কাশ্মীরের মানুষ নিজেদের ভোটেই নিজেদের সরকার গড়বে। দিল্লি এবং শ্রীনগরের মধ্যেকার দূরত্ব কমানোই আপাতত কেন্দ্র সরকারের মূল উদ্দেশ্য।”
শুক্রবার শ্রীনগরে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত ১০ বছরে বিজেপি সরকারের চেষ্টায় আমূল বদলে গিয়েছে কাশ্মীর। মানবতার শত্রুরা উন্নয়ন চায় না। কাশ্মীরে শান্তিপ্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটানোর শেষ চেষ্টা করছে।” উপত্যকায় দ্রুত বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, “কাশ্মীরবাসী নিজেদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য ভোট দেওয়ার সুযোগ পান। সেই জনপ্রতিনিধিরা অনেক সমস্যার সমাধান করে দেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই দিনটা আসতে আর বেশি দেরি নেই, যেদিন উপত্যকাবাসী নিজেদের ভোটে নিজেদের সরকার গড়বেন। এর চেয়ে ভালো আর কীই বা হতে পারে!” মোদি জানিয়েছেন, ভোটের পরই কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর জন্য পদক্ষেপ করা হবে।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা খর্ব করার পাশাপাশি উপত্যকার পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে নিয়ে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়। কাশ্মীরকে যেভাবে পূর্ণ রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছিল, সেটা নিয়েও বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রকে।
৩৭০ ধারা বাতিল সংক্রান্ত মামলায় গত গত ২৯ আগস্ট শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানিয়ে দেয়, উপত্যকায় গণতন্ত্রের পুনরুত্থান জরুরি। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালের মধ্যে সেরাজ্যের নির্বাচন করাতে হবে। কতদিনে কাশ্মীরকে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব, সেটা স্পষ্ট করে জানাতে হবে কেন্দ্রকে। এখনও পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর কোনও সময়সীমা জানাতে পারেনি মোদি সরকার। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে খানিক আশ্বস্ত হতে পারেন উপত্যকাবাসী।