স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২২ মে : অরবিন্দ কেজরিওয়াল ভোটপ্রচারের জন্য জামিন পেয়েছিলেন। হেমন্ত সোরেন পেলেন না। উলটে জামিনের আর্জি জানিয়ে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হলে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে আর্জি প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি।
ভোটপ্রচারের জন্য জামিনের আবেদন করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জেএমএম নেতা। ইডির গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধেও একটি মামলা তিনি করেছেন শীর্ষ আদালতে । বুধবার জামিন মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার অবসরকালীন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ওই আর্জিতে তথ্যগোপন করা হয়েছে। হেমন্ত যে আদালতে আরেকটি জামিনের আর্জি জানিয়েছেন, সেটা এই আর্জিতে জানানো হয়নি। আদালত মনে করছে, হেমন্তের এই আচরণ কলঙ্কমুক্ত নয়।
এদিন শীর্ষ আদালত রীতিমতো ভর্ৎসনা করে জেএমএম নেতাকে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট মামলা খারিজ করে দেওয়ার আগেই হেমন্তের কুশলী কপিল সিব্বাল সেটা প্রত্যাহার করে নেন। যার ফলে ভোটের মধ্যে হেমন্তের জামিন পাওয়ার আর বিশেষ সম্ভাবনা রইল না। প্রচারও করতে পারবেন না তিনি।
জমি দুর্নীতি ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগে হেমন্তকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে যাওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জেএমএম নেতা। তার পর থেকে একাধিকবার তাঁর মামলার শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই তাঁর আর্জি ছিল, ভোটপ্রচার করার জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হোক। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে গেল।