স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। ৩ মে : কোভিড টিকা কোভিশিল্ডে মারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। ওষুধের ভয়াবহতার কথা ইতিমধ্যেই ব্রিটেনের আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা । এই পরিস্থিতিতে এবার ২০২১ সালে ২০ বছর বয়সে প্রয়াত এক তরুণীর বাবা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করতে। দাবি, কোভিশিল্ডই প্রাণ কেড়েছে তাঁর মেয়ের।
প্রসঙ্গত, কোভিশিল্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে শীর্ষ আদালতে। এবার সামনে এল প্রয়াত তরুণী করুণ্যার বিষয়টি। তাঁর বাবা ভেনুগোপালন গোবিন্দন এক হ্যান্ডলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও কোভিশিল্ডের নির্মাতা সিরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধেও।
তাঁর পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, ওই টিকা ব্যবহারের পর রক্তজমাট বাঁধার কারণে মৃত্যুর ঘটনায় যখন ইউরোপের পনেরোটি দেশে তার ব্যবহার বন্ধ করা হল, এর পরও সিরাম ইনস্টিটিউটের উচিত ছিল টিকা সরবরাহ বন্ধ রাখা। ইতিমধ্যেই ন্যায় চেয়ে বহু আদালতে গেলেও কোনও শুনানিই হয়নি বলেই অভিযোগ তাঁর। অ্যাস্ট্রাজেনেকার তরফে টিকায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করে নেওয়ার ঘটনায় তিনি লেখেন, ‘এরা স্বীকার করল তবে অনেক দেরিতে। ততদিনে বহু মানুষ অকালে প্রাণ হারিয়েছেন।’ প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে প্রয়াত ঋতিকা নাম্নী আর এক তরুণীর মা রচনা গাঙ্গু এবং ভেনুগোপালন আগেই সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন জমা দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ওষুধ ভারতে তৈরির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই)কে। অতিমারির সময়ে দেশের বেশিরভাগ মানুষই নিয়েছিলেন কোভিশিল্ডের টিকা। ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি রয়েছে তাঁদেরও। এই পরিস্থিতির মাঝে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বিশাল তিওয়ারি নামে এক আইনজীবী। সব মিলিয়ে ব্রিটেনের পর কোভিশিল্ড নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ভারতে।