স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। ৩ মে : সময়সীমা ফুরানোর দিনেই মনোনয়ন জমা দিলেন রাহুল গান্ধী। শুক্রবার সকালে রায়বরেলির প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস। দুপুরেই একঝাঁক নেতাকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দেন রাহুল। উল্লেখ্য, মনোনয়ন দেওয়ার সময়ে রাহুলের সঙ্গে হাজির ছিলেন সোনিয়া গান্ধী। যিনি গান্ধী ‘গড়’ রায়বরেলির বিদায়ী সাংসদ।
দীর্ঘ আলোচনা-বিশ্লেষণের পর অবশেষে লোকসভা নির্বাচনে রায়বরেলি থেকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। শুক্রবার দুপুরে মাকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান রাহুল। সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এছাড়াও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং রবার্ট বঢরা হাজির ছিলেন রাহুলের মনোনয়নে। তবে রাহুলের ‘দ্যুতি’তে ফিকে হয়ে গেল আরেক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র আমেঠি। সেখানে আড়ম্বরহীনভাবে মনোনয়ন জমা দিলেন কংগ্রেসের কিশোরীলাল শর্মা।
তবে মনোনয়নে না থাকলেও শুক্রবার কিশোরীলালের সমর্থনে রোড শো করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে তিনি বলেন, “গত ৪০ বছর ধরে আমেঠির মানুষের সেবা করেছেন কিশোরীলালজি। এখানকার প্রত্যেকটি গ্রাম, রাস্তা, মানুষকে চেনেন তিনি। সকলের সমস্যা জানেন। এবার লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিশোরজি। আমি আশাবাদী, আমেঠির মানুষ তাঁকে অবশ্যই বিপুল ভোটে জয়ী করবেন।”
শুক্রবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেই রায়বরেলির কংগ্রেস দপ্তরের দিকে রওনা দেন রাহুল। পথে অবশ্য তাঁর গাড়ি দেখে “রাহুল গান্ধী ওয়াপস যাও” স্লোগান দেন বিজেপি কর্মীরা। তবে রায়বরেলিতে পুজো দিয়ে প্রচার অভিযান শুরু করেন ওয়ানড়ের কংগ্রেস সাংসদ। উল্লেখ্য, রায়বরেলিতে রাহুলের মনোনয়নকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, উনি পালিয়ে যাচ্ছেন। তার জবাবে খাড়গের তোপ, মোদি নিজেই বারাণসীতে গিয়ে নির্বাচন লড়ছেন। তাহলে পলাতকটা কে?