স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৪ মার্চ : লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। দেশজুড়ে কার্যকর আদর্শ আচরণবিধি । গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়, সেই জন্যই এই বিধি জারি হয় ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর। ফলে প্রতিদিনই একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। অভিযোগের নিশানায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও । তবে অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না কমিশন।
কেন মোদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কমিশনের হাত-পা বাঁধা? নেপথ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশনের নিয়মাবলি। আদর্শ আচরণবিধি অনুযায়ী, নির্বাচনের সময় প্রচার করতে কেউই বায়ুসেনার বিমান ব্যবহার করতে পারবেন না। দিন কয়েক আগেই তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, নির্বাচনী সভায় যেতে ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছেন মোদি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, বায়ুসেনার বিমান ব্যবহারের ছাড় রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
কেবল বায়ুসেনার চপার ব্যবহারই নয়, আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশনের নিয়মে অনেক ক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রীকে ছাড় দেওয়া হয়। নির্বাচনী প্রচারের সময় সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন তিনি। এছাড়াও একজন নন-গেজেটেড সরকারি কর্মীকে সঙ্গে রাখতে পারেন। আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার পরে মন্ত্রীদের নিরাপত্তার খরচ তাঁদের নিজেদেরই বহন করতে হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে সরকারি এসপিজি। মোদির জন্য হেলিপ্যাডের ব্যবস্থা করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জন্য টেলিপ্রম্পটার-সহ অন্যান্য সরঞ্জামের ব্যবস্থা করেন দূরদর্শনের সরকারি কর্মীরা।
তবে কেবল সুবিধা নয়, লোকসভা নির্বাচনের সময়ে বেশ কিছু নিয়মের কড়াকড়িও থাকবে মোদির জন্য। প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা যাবে না। কোনও সরকারি জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর ছবি বা তাঁর দলের ব্যানার টাঙানো যাবে না। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পরে দেশবাসীকে বিকশিত ভারতের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠায় কেন্দ্র। সেটিও আচরণ বিধি লঙ্ঘনের আওতাতেই পড়ে। আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে অন্যরা শাস্তি পেতেই পারেন, কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই ‘বেকসুর খালাস’ পেয়ে যাবেন নরেন্দ্র মোদি।