স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ ফেব্রুয়ারি :
সাম্প্রদায়িক হিংসায় উত্তপ্ত উত্তরাখণ্ডের হালদয়ানি। ইতিমধ্যেই অশান্তির জেরে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আহত অন্তত ২৫০ জন। গোটা শহরজুড়ে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। দাঙ্গাকারীদের দেখলেই গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
ঠিক কী ঘটেছে দেবভূমিতে? জানা গিয়েছে, হালদয়ানির ভানবুলপুরা এলাকায় বেআইনিভাবে তৈরি মসজিদ ও মাদ্রাসা ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে গিয়েই স্থানীয় জনতার প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ ও সরকারি আধিকারিকরা। বুলডোজার দিয়ে মসজিদ ভাঙা শুরু হতেই পুলিশের দিকে পাথর ছোড়ে উন্মত্ত জনতা। পালটা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশও। সংঘর্ষের জেরে গুরুতর আহত হন ৫০ জন পুলিশকর্মী।
এরপরে স্থানীয় থানায় আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাস, মোটরবাইক। শুধু পুলিশ নয়, সরকারি আধিকারিক, সাংবাদিক সকলের দিকেই পাথর ছুড়তে থাকে বিশাল জনতা। সেখানে শামিল ছিলেন প্রচুর মহিলারাও। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতেই বিশেষ বাহিনী পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে গোটা হালদয়ানিতে। অশান্তি যেন ছড়াতে না পারে সেই জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সমস্ত স্কুল এবং দোকান বন্ধ রাখা হচ্ছে।
কড়া হাতে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ডাক দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি। আমজনতাকে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করে ঘটনাস্থলে বিশাল বাহিনী মোতায়েন করেছেন। উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে জানিয়েছেন, প্রয়োজন পড়লে দাঙ্গাকারীদের দেখামাত্র গুলি চালাতে হবে।