নয়াদিল্লি, ২৬ অক্টোবর (হি.স.): উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মন্দির নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাস্টের তরফে তাঁকে আগামী ২২ জানুয়ারির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ কথা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী লিখেছেন, ‘‘জয় সিয়ারাম! আজ আবেগে ভরা দিন। সম্প্রতি শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কর্মকর্তারা আমার বাসভবনে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তাঁরা আমাকে শ্রী রাম মন্দিরের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে অযোধ্যায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। নিজেকে ধন্য মনে করছি। এটা আমার সৌভাগ্য যে আমার জীবদ্দশায় আমি এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকব।’’
২০২০ সালের ৫ অগস্ট অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গত মে মাসে মোদী সরকারের ন’বছর পূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নির্মীয়মাণ রামমন্দিরের ছবি দেখিয়ে জানানো হয়েছিল, আগামী বছরের গোড়াতেই মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে। এর পর মন্দির ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়, উদ্বোধন কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী হাজির থাকবেন। এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁকে বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হল ট্রাস্টের তরফে।
এদিকে, রাম মন্দিরের উদ্বোধন ও প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষে বিদ্ধ করছে বিরোধী শিবির। বিজেপি শিবির অবশ্য অত্যন্ত খুশি। উদ্ধব ঠাকরে ঘনিষ্ঠ সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর দরকার নেই। তিনি নিজেই যেতেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী, তিনি অবশ্যই যাবেন। রামমন্দির তৈরি হওয়ার কথা ছিল। এ জন্য প্রাণ দিয়েছেন হাজার হাজার করসেবক। এতে সব হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ও দলের অবদান রয়েছে। শিবসেনা, বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সেখানে ছিল… আডবানীজি রথযাত্রা বের করেছিলেন।” আবার কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ বলেছেন, শুধুমাত্র একটি দলকেই কী আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে? ঈশ্বর কি এখন একটি দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ? আমন্ত্রণ সবার জন্য হওয়া উচিত… এটাকে একটা দলের অনুষ্ঠানে পরিণত করা হচ্ছে। এটা কি দলীয় কর্মসূচি নাকি শুধুমাত্র একজনের সঙ্গে সম্পর্কিত? এদিকে, উত্তর প্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেছেন, রাম লাল্লা মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই খবরে আমরা সবাই আনন্দিত। আমরা অধীর আগ্রহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বারা মন্দিরে মূর্তি স্থাপনের জন্য অপেক্ষা করছি।”