নয়াদিল্লি, ১৩ জানুয়ারি (হি.স.): প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা শরদ যাদব প্রয়াত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে হরিয়ানার গুরুগ্রামের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে শরদ যাদবের প্রয়াণের খবর জানান তাঁর কন্যা সুভাষিণী। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘বাবা আর নেই।’’ শরদ যাদবের মৃত্যুর পর গুরুগ্রামের ফোর্টিস হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল শরদ যাদবকে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে অচৈতন্য অবস্থায় শরদ যাদবকে গুরুগ্রামের ফোর্টিস হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসায় কোনও সাড়া মেলেনি। এর পরই ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা রাত ১০ টা ১৯ মিনিটে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শরদ যাদবের প্রয়াণে শোকের আবহ রাজনৈতিক মহলে। প্রবীণ এই নেতার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘শরদজির প্রয়াণে গভীর ভাবে ব্যথিত। দীর্ঘ জনজীবনে তিনি নিজেকে একজন সাংসদ এবং মন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমাদের মধ্যে যে কথোপকথন হয়েছে, তা সবসময় মনে থাকবে। তাঁর পরিবার এবং ভক্তদের প্রতি সমবেদনা। ওঁ শান্তি।’ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও শোকপ্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, লোকসভায় ৭ বারের সাংসদ ছিলেন শরদ যাদব। রাজ্যসভায় ৩ বারের সাংসদ ছিলেন এই প্রবীণ নেতা। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জেডিইউ-এর জাতীয় সভাপতি ছিলেন তিনি। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে শরদকে। ২০১৮ সালে তিনি নিজের দল গঠন করেন। নামকরণ করা হয় ‘লোকতান্ত্রিক জনতা দল’। যদিও দু’বছর পর দলটি লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে মিশে যায়। ১৯৪৭ সালের ১ জুলাই মধ্যপ্রদেশের হোসঙ্গাবাদ জেলার ববাই গ্রামে জন্ম শরদের। মধ্যপ্রদেশে জন্ম হলেও শরদের রাজনৈতিক কেরিয়ার ছিল বিহারেই।