Tuesday, November 18, 2025
বাড়িজাতীয়তালিবানে সাংবাদিক সম্মলেনে ব্রাত্য মহিলারা, নারীশক্তির অপমানে ‘দুর্বল’ প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা

তালিবানে সাংবাদিক সম্মলেনে ব্রাত্য মহিলারা, নারীশক্তির অপমানে ‘দুর্বল’ প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১১ অক্টোবর : ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে ‘নারী বিদ্বেষ’! দিল্লিতে আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সাংবাদিক বৈঠকে ঢুকতে দেওয়া হল না কোনও মহিলা সাংবাদিককে। এত বড় বৈষম্যমূলক ঘটনা ভারত সরকারের নাকের ডগায় ঘটে গেল অথচ নয়াদিল্লি প্রতিবাদ করল না! স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ বিরোধী শিবির। কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি তুলছে ইন্ডিয়া জোট। বিরোধীদের প্রশ্ন, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকারও কি তালিবানি মানসিকতাকে সমর্থন করে?

২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর মহিলাদের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে কট্টর মৌলবাদী সরকার। সেখানকার মহিলারা একা রাস্তায় বেরোতে পারেন না। মেয়েদের স্কুল কিংবা উচ্চশিক্ষায় দাঁড়ি টানা হয়েছে। বাইরে কাজ করার অধিকার কেড়ে নিয়ে মহিলাদের গৃহবন্দি করা হয়েছে। নিয়ম অমান্য করলে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি। এহেন কট্টর মৌলবাদের দেশের প্রতিনিধিকে প্রসন্ন করতে দিল্লিতে মুত্তাকির সাংবাদিক বৈঠকে মহিলাদের প্রবেশ করতে না দেওয়া শুধু তালিবানের নারী বিদ্বেষকে সমর্থন যোগানো নয়, খোদ কেন্দ্রের তরফে ভারতীর মহিলাদের ‘অপমান’ বলে অভিযোগ উঠছে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন খোদ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।

ঘটনায় প্রবল ক্ষুব্ধ বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বলছেন, “আপনি মহিলা সাংবাদিকদের প্রকাশ্য সম্মেলনে প্রবেশের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে দেশের সব নারীকে বুঝিয়ে দিলেন, যে তাঁদের হয়ে অবস্থান নেওয়ার মতো শক্তি আপনার নেই। আপনি মেয়েদের হয়ে আওয়াজ তোলার জন্য বড্ডই দুর্বল প্রধানমন্ত্রী।” রাহুলের বক্তব্য, “আমাদের দেশে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের সমানাধিকার রয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে নীরবতা আপনার নিজের বিশ্বাসকেই তুলে ধরছে। নারী শক্তি নিয়ে আপনার স্লোগান যে আদপেই অন্তঃসারশূন্য তা ফাঁস করে দিয়েছে।” প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলছেন, এই দেশের মেরুদণ্ড এবং গর্ব নারীরা। সেখানে নারীদের এই অপমান কীভাবে সহ্য করলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদিজি সাংবাদিক বৈঠকে মেয়েদের সরিয়ে দেওয়া নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করুন।” তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের প্রশ্ন, “এটাই কি দেশের বিদেশনীতি? এমন এক সরকারকে মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে, যাদের হাতে আফগান মহিলাদের রক্ত লেগে আছে। এটা ভারতের জন্য চরম অপমানের।”

যদিও কেন্দ্র গোটা ঘটনা থেকে দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করছে। মোদি সরকারের বক্তব্য, ওই সাংবাদিক সম্মেলনের আমন্ত্রণ আফগান দূতাবাস থেকে পাঠানো হয়েছিল। তাছাড়া দিল্লিতে আফগান দূতাবাস ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণের অধীনে পড়ে না। সেখানে কী হচ্ছে তাতে ভারত সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কিন্তু তাতে বিতর্ক এড়ানো যাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের শীর্ষ নেতামন্ত্রীরাও নীরব।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য