স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, ২১জুলাই: বৃহস্পতিবার মাতারেল্লার কার্যালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। দ্রাগির পদত্যাগ ইউরোপের এ দেশটিকে নতুন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে ফেলতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
মাতারেল্লার কার্যালয় জানিয়েছে, রাষ্ট্রপ্রধান প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্রটি ‘নোট’ করেছেন এবং দ্রাগিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র পাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট এখন কী করবেন বিবৃতিতে তা বলা হয়নি। অবশ্য চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে একাধিক সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছিলে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র দিলে মাতারেল্লা পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে অক্টোবরে আগাম নির্বাচনের ডাক দিতে পারেন।
দ্রাগির পদত্যাগপত্র পাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবারই পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের স্পিকারদেরসঙ্গে দেখা করার কথা ভাবছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।দ্রাগিরক্ষমতাসীন জোটের অংশীদারদের মধ্যে বিরোধ গত কিছূদিন ধরেই স্পষ্ট হচ্ছিল। ভেদাভেদভুলে তাদেরকে এক করার চেষ্টায় বুধবার সেনেটে আস্থা ভোট ডেকেছিলেন দ্রাগি; তাতে তিনিউৎরে গেলেও জোটের তিন গুরুত্বপূর্ণ শরিকই ওই ভোট বয়কট করেছিল।ইউরোপীয়সেন্ট্রাল ব্যাংকের সাবেক প্রধান দ্রাগির আমলে ইতালির রাজনীতি তুলনামূলক স্থিতিশীলছিল; ইউক্রেইনে রাশিয়ার অভিযানের পাল্টায় ইউরোপের দেশগুলো যে একাট্টা হতে পেরেছিল,তাতেও তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম।জোটেরভেতরকার বিরোধের কারণে দ্রাগি সপ্তাহখানেক আগেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ারঘোষণা দিলেও প্রেসিডেন্ট তখন তাকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন।