স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০৫ অগস্ট : শুল্কযুদ্ধে আমেরিকা-রাশিয়া সংঘাত এবার চরমে। রাশিয়া থেকে তেল কেনার অভিযোগে দিল্লি-সহ একাধিক রাষ্ট্রের উপর নতুন করে বিপুল হারে শুল্ক চাপানোর হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই অবস্থায় মুখ খুলল মস্কো। রুশ বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, আধিপত্য বিস্তারে এক ‘নব্য ঔপনিবেশিকতা’র নীতিতে চলতে শুরু করেছে আমেরিকা। রাশিয়ার দাবি, কোনও শুল্কযুদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞাই বন্ধুরাষ্ট্রগুলির সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ইতিহাসকে বদলে দিতে পারবে না। কার্যত ট্রাম্পের হুমকিকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে মস্কো।
সোমবার রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, “নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে নব্য ঔপেনিবেশিকতা নীতি নিয়েছে ওরা (আমেরিকা)। যারাই ওদের রাজনৈতিক এজেন্ডাকে সমর্থন করছে না, তাদের উপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির কৌশল নিয়েছে।” রাশিয়ার বন্ধুরাষ্ট্রগুলির উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো প্রসঙ্গে মারিয়ার মন্তব্য, ‘সরাসরি দখলদারির চেষ্টা’, রাষ্ট্রগুলির সার্বভৌমত্ব এবং “তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টা”। এরপরেই রাশিয়া দাবি করে, কোনও শুল্কযুদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞাই বন্ধুরাষ্ট্রগুলির সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ইতিহাসকে বদলে দিতে পারবে না।
এদিকে আমেরিকার হুমকির পর কড়া বিবৃতি দিয়েছে নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুর পর বেশিরভাগ সামগ্রীই ইউরোপমুখী হয়েছিল। তাই রাশিয়া থেকে তেল কেনা শুরু করে ভারত। শুধু তাই নয়, সেই সময় বিশ্বের জ্বালানির বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমেরিকাই রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ভারতকে উৎসাহিত করেছিল।’ আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেভাবে লাগাতার ভারতকে আক্রমণ করে যাচ্ছে, তা ‘অযৌক্তিক’ বলেও আখ্যা দিয়েছে ভারত।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি সাফ জানান, ভারতের বন্ধু হলেও তাদের উপর শুল্ক চাপানো হচ্ছে। আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে এই নতুন শুল্কহার। পাশাপাশি, তিনি আরও জানান, ভারত রাশিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে তেল এবং অস্ত্র কেনে। সেই কারণেই ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে।