স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, ২৭ অক্টোবর : করোনাভাইরাস টিকার দুটি ডোজ সম্পন্ন করা বাসিন্দাদের ওপর থেকে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। টিকা নেওয়া বিদেশি ভ্রমণকারীদের স্বাগত জানানোরও প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির কোনো কোনো রাজ্য।
১ নভেম্বর থেকে দেশটির টিকা নেওয়া সম্পন্ন করা নাগরিকরা দেশের বাইরে যেতে পারবেন বলে এক ঘোষণায় জানিয়েছে দেশটির সরকার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির বৃহত্তম দুটি শহর, সিডনি ও মেলবোর্ন, কোয়ারেন্টিন ছাড়াই বিদেশি ভ্রমণকারীদের স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু টিকাবিহীন ভ্রমণকারীরা সেখানে গিয়ে দুই সপ্তাহের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে সম্মত হলেই কেবল প্রবেশের অনুমতি পাবেন।
তবে পুরো অস্ট্রেলিয়াজুড়ে ভ্রমণ বিষয়ে ব্যবস্থাগুলো একরকম নয়। দেশটির বিভিন্ন রাজ্য ও অঞ্চলে টিকা দেওয়ার হারে পার্থক্য আছে আর তাদের স্বাস্থ্য নীতিও আলাদা।চলতি টিকা দেওয়ার হার অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন এলাকার সীমান্ত ভিন্ন ভিন্ন তারিখে খুলবে। অস্ট্রেলিয়ার প্রায় দুই কোটি ৬০ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি যে দুই রাজ্যে বাস করে সেই নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়া ১ নভেম্বর থেকে টিকার ডোজ সম্পন্ন করা সব আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীকে কোয়ারেন্টিন ছাড়াই সেখানে স্বাগত জানাবে। তবে এক্ষেত্রে নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দারা প্রথম সুযোগ পাবেন।টিকার ডোজ সম্পন্ন করা সব নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দারা এদিন থেকে ভ্রমণ অব্যাহতি চাওয়া ছাড়াই বিদেশ যেতে পারবেন।২৩ নভেম্বর থেকে সাউথ অস্ট্রেলিয়া আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় অর্ধেকে নামিয়ে এনে সাত দিন করবে। রাজ্যটির ১২ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যার ৯০ শতাংশের টিকার দুই ডোজ দেওয়া সম্পন্ন হওয়ার পর কোয়ারেন্টিনের এ নিয়ম তুলে নেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট তারিখ দেওয়া হয়নি।এদিন থেকে নর্দান টেরিটরি সম্পূর্ণ টিকা দেওয়া অভ্যন্তরীণ ভ্রমণকারী যারা ভাইরাস হটস্পট থেকে আসবেন তাদের দুই সপ্তাহের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার অনুমোদন দেবে।
১ ডিসেম্বর থেকে সিডনিসহ পুরো নিউ সাউথ ওয়েলসে টিকা নেননি এমন বাসিন্দারাও টিকা গ্রহীতাদের সমান স্বাধীনতা উপভোগ করবেন। বাড়িতে অথবা বাইরে জমায়েতের বিষয়ে বেঁধে দেওয়া কোনো সীমা আর থাকবে না। খুচরা পণ্যের দোকানগুলোতেও আরও বেশি ক্রেতা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
১৫ ডিসেম্বর থেকে টিকার ডোজ সম্পন্ন করা বিদেশি ভ্রমণকারীদের ও ভ্রমণের আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা কোভিড-১৯ পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ জমা দেওয়া দেশের অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য সীমান্ত খুলে দেবে তাসমানিয়া।১৭ ডিসেম্বর থেকে কুইন্সল্যান্ড দেশের সব রাজ্যের টিকা নেওয়া বাসিন্দাদের কোয়ারেন্টিন মুক্তভাবে সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেবে, তবে বিদেশি ভ্রমণকারীদের ‘একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত’ হোমা কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।২০ ডিসেম্বর থেকে নর্দান টেরিটরি কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় অর্ধেক করে এক সপ্তাহে নামিয়ে আনবে। আর ১৮ জানুয়ারি, ২০২২ থেকে কোয়ারেন্টিন পুরোপুরি তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।একমাত্র ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া রাজ্য তাদের সীমান্ত খোলার কোনো পরিকল্পনা এখনও গ্রহণ করেনি। তারা অন্যান্য রাজ্যগুলোকে সতর্ক করে বলেছে, যদি ওই রাজ্যগুলো ভাইরাস আক্রান্ত নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়ার বাসিন্দাদের কোয়ারেন্টিন ছাড়াই তাদের রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি দেয় তাহলে তাদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেবে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া।