স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২২ মে : সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে ভারতের অবস্থান এবং পাকিস্তানের মদতের বিষয়টি গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে আগেই বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই একটি প্রতিনিধিদল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং আর একটি দল জাপানে পৌঁছেছে। জাপানে যাওয়া প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্বে রয়েছেন জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় ঝা। এই দলে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আর আমিরশাহিতে যাওয়া দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন শিবসেনা সাংসদ শ্রীকান্ত শিন্দে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, শিন্দের নেতৃত্বাধীন দলটি বৃহস্পতিবার আবু ধাবিতে আমিরশাহির ফেডেরাল ন্যাশনাল কাউন্সিলের সদস্য আহমেদ মির খুরির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। পরে সমাজমাধ্যমে শিন্দে লেখেন, “অপারেশন সিঁদুরে ভারতের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি আমরা পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেছি।” শিন্দে ছাড়াও এই প্রতিনিধিদলে রয়েছেন বিজেপির মননকুমার মিশ্র, বিজেডির সস্মিত পাত্র, আইইউএমএল-এর মহম্মদ বশীর, বিজেপির এসএস অহলুওয়ালিয়া, অতুল গর্গ, বাঁসুরী স্বরাজ এবং প্রাক্তন কূটনীতিক সুজন আর চিনয়। প্রতিনিধিদলটির সঙ্গে ছিলেন আমিরশাহিতে ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় সুধীরও।
অন্য দিকে, নীতীশ কুমারের দলের সাংসদ সঞ্জয়ের নেতৃত্বাধীন দলটি টোকিয়ো পৌঁছে জাপানে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সিবি জর্জের সঙ্গে দেখা করে। আলোচনায় সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদান এবং কূটনীতির উপরে জোর দেওয়া হয়। পরে প্রতিনিধিদলের সদস্যেরা জাপানের বিদেশমন্ত্রী তাকেশি আইওয়ার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারতের দৃঢ় অবস্থানের বিষয়টি তাঁকে জানানো হয়। সূত্রের খবর, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেন জাপানের বিদেশমন্ত্রী। জাপানে যাওয়া প্রতিনিধিদলটিতে সঞ্জয়, অভিষেক ছাড়াও রয়েছেন বিজেপির অপরাজিত সারঙ্গী, ব্রিজলাল, প্রধান বড়ুয়া, হেমাঙ্গ জোশী। রয়েছেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ, সিপিএমের জন ব্রিটাস এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মোহন কুমার। টোকিয়ো পৌঁছে সেখানে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন অভিষেক।
আগেই স্থির হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান এবং পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের বার্তা নিয়ে দেশে দেশে ঘুরবে কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি সাতটি সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল। সাত দলে মোট ৫৯ জন সদস্য আছেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই রাজনীতিবিদ। এ ছাড়া কয়েক জন কূটনীতিককেও দলে রেখেছে কেন্দ্র। তাঁরা মোট ৩৩টি দেশে যাবেন। বৃহস্পতিবার প্রথম দলটি আমিরশাহি পৌঁছোয়। দ্বিতীয় দলটি গিয়েছে জাপানে।