স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৪ মে : ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ নিহত পাকিস্তানি সৈন্যের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেল। বুধবার এই সংক্রান্ত নতুন পরিসংখ্যান প্রকাশ করল ইসলামাবাদ। প্রথমে তারা জানিয়েছিল, ৬ এবং ৭ মে-র মধ্যবর্তী রাতে ভারত যে হামলা চালিয়েছে, তাতে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর নিহত সদস্যের সংখ্যা ১১। বুধবার পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস্ (আইএসপিআর) জানিয়েছে, আরও দু’জন সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে। ফলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩। এখনও আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহু।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করে ভারত। ৬ তারিখ মধ্যরাতে পাকিস্তানে জঙ্গিঘাঁটিগুলি চিহ্নিত করে ধ্বংস করা হয়েছে। ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তানের মোট ন’টি জঙ্গিঘাঁটি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ধ্বংস হয়েছে। সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি করা হয়নি। তবে পাকিস্তানের দাবি, বেছে বেছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি নিশানা করেছিল ভারত। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ মৃত্যু হয়েছে বহু সাধারণ মানুষের। ছ’টি জায়গায় ভারতের হামলার কথা স্বীকার করেছে পাকিস্তান।
আইএসপিআরের বিবৃতি উল্লেখ করে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, ভারতের হামলায় পাকিস্তানি সেনার ৭৮ জন আহত। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে পাকিস্তানের আরও দু’জন বীর সৈন্য শহিদ হলেন। তাঁরা এত দিন হাসপাতালে ছিলেন। এই নিয়ে মৃত সৈন্যের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩। নিহতেরা হলেন পাক সেনার হাবিলদার মহম্মদ নাভিদ এবং বায়ুসেনার সিনিয়র প্রযুক্তিবিদ মহম্মদ আয়াজ়।’’
উল্লেখ্য, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রত্যাঘাতে পাকিস্তান শুরু করেছিল ‘অপারেশন বুনিয়ান-আন-মারসুস’। কোরানের আয়াতের অংশ এই বাক্যাংশ, যার অর্থ ‘সীসার তৈরি শক্ত কাঠামো’ বা কোনও ‘অভেদ্য দেওয়াল’। ভারতেও পাল্টা হামলা চালায় পাক সেনা। জম্মু-কাশ্মীর-সহ ভারতের পশ্চিম সীমান্তবর্তী এলাকায় গোলাবর্ষণ করা হয়। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। টানা চার দিন সীমান্তে সংঘর্ষের পরে শনিবার দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে।