স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১২ মে : এ যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া। অপারেশন সিঁদুরের আঘাতে তছনছ পাকিস্তান। এই সুযোগকে হাতিয়ার করে স্বাধীনতার লড়াই আরও তীব্র করল বালোচ বিদ্রোহীরা। সম্প্রতি বালোচ লিবারেশন আর্মির তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে পাকিস্তানের ৫১টি জায়গায় ৭১টির বেশি হামলা চালিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানকে বিশ্বশান্তির অন্যতম কাঁটা হিসেবে উল্লেখ করে ভারতের কাছে সামরিক সাহায্যের আর্জি জানানো হয়েছে।
গত রবিবার বিএলএ মুখপাত্র জিয়ন্দ বালোচ পাকিস্তানকে নিশানা করে বিবৃতি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ‘গত এক সপ্তাহে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম সামরিক উত্তেজনার মাঝেই পাক সেনার বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালানো হয়েছে। ৫১টি জায়গায় ৭১টির বেশি হামলা চালানো হয়েছে। হামলার নিশানায় ছিল পাক সেনার কনভয়, গুপ্তচর দপ্তর ও খনিজ পরিবাহী যানবাহন। এই সপ্তাহেই পাক সেনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নতুন ফ্রন্ট খুলেছে তারা। সাম্প্রতি হামলাগুলি শুধুমাত্র ধ্বংসাত্মক উদ্দেশে নয় বরং আগামীদিনে যুদ্ধক্ষেত্রের প্রস্তুতি পরীক্ষার লক্ষ্যে করা হয়েছিল।’
পাশাপাশি এই বিবৃতিতে পাকিস্তানকে নিশানা করে আরও জানানো হয়েছে, পাকিস্তান বিশ্বাসঘাতক। এরা মুখে শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের কথা বললেও আড়ালে যুদ্ধের জন্য সর্বদা উদ্যত। ফলে ভারত-সহ গোটা বিশ্বকে বালোচের বার্তা, পাকিস্তানের ‘মিথ্যা শান্তি আলোচনা’র ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য। তাদের দাবি, পাকিস্তান হল এমন একটি দেশ যার হাতে রক্ত লেগে রয়েছে। এই দেশ বিশ্বসন্ত্রাসের ঘাঁটি। লস্কর, জইশ, আইসিসের মতো জঙ্গি সংগঠনকে আর্থিক সাহায্য করে এখানকার সরকার।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে গোটা বিশ্বের পাশাপাশি বিশেষ করে ভারতের কাছে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা সহায়তার জন্য আবেদনজানানো হয়েছে ভারতের তরফে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যদি আমরা বিশ্ব, বিশেষ করে ভারত থেকে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা সহায়তা পাই, তাহলে বালোচ জাতি এই সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের (পাকিস্তান) অবসান ঘটাতে পারবে। এই সহায়তা শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, স্বাধীন বালোচিস্তানের পথ খুলে দিতে পারে। আর যদি বিশ্ব এভাবে পাকিস্তানকে সহ্য করে যায় তাহলে আগামী দিনে এই রাষ্ট্র গোটা বিশ্বের জন্য বিপর্যয়ের কারণ হয়ে উঠবে।” যদিও সূত্রের খবর, বালোচের তরফে সাহায্যের আর্জির পালটা ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, কূটনৈতিক আদর্শ মেনে ভারত বালোচ লিবারেশন আর্মিকে কোনওভাবেই সমর্থন করবে না। কারণ এটি পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এক্ষেত্রে ভারত তার পুরনো নীতি নিয়ে চলবে।