স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১১ মে : আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে এবার বড় পদক্ষেপ ভারতের। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জঙ্গির দেশ পাকিস্তানের পর্দাফাঁস করতে চলেছে নয়াদিল্লি। পহেলগাঁও-সহ ভারতের মাটিতে একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনায় যে সরাসরি পাকিস্তানের হাত রয়েছে, রাষ্ট্রসংঘে সে বিষয়ে যাবতীয় তথ্য প্রমাণ তুলে ধরা হবে ভারতের তরফে। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক বসতে চলেছে। সেখানে জঙ্গি হামলায় পাকযোগের সমস্ত প্রমাণ পেশ করার জন্য একটি বিশেষ দল পাঠাচ্ছে ভারত সরকার।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তানের মদতে চলা জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হিয়েছিল ২৬ জনের। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, এই হামলায় অংশ নেওয়া জঙ্গিদের দুজন পাকিস্তানের। হামলার দায়ও নেয় লস্কর ই তইবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। এই অবস্থায় পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসের আঁতুড় ঘরে হামলা চালায় ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় জঙ্গিদের হেড কোয়ার্টার গুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেনা ও আইএসআই-এর লালন করছিল সেই সন্ত্রাসের কারখানা। সেই ঘটনার পর পাকিস্তানের হামলা ও পালটা হামলার পর বর্তমানে যুদ্ধবিরতি চলছে দুই দেশের মধ্যে। এই অবস্থার মাঝেই এবার বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের পর্দাফাঁস করতে তৎপর হল কেন্দ্র।
জানা যাচ্ছে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ নিষেধাজ্ঞা কমিটির আসন্ন বৈঠকে পাকিস্তানের যন্ত্রাস যোগের সমস্ত তথ্য প্রমাণ তুলে ধরা হবে। আগামী সপ্তাহে হলে চলা এই বৈঠকে অংশ নেবেন ভারতের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। যাঁদের লক্ষ্য হবে পাকিস্তানের মদতে জইশ ই মহম্মদ, লস্কর ই তইবার মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের কার্যকলাপের প্রতি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ। এই সংগঠনগুলি ভারতের মাটিতে একাধিক জঙ্গি হামলায় যুক্ত।
উল্লেখ্য, এর আগেও বহুবার পাকিস্তানকে বিশ্ব সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর বলে উল্লেখ করেছে ভারত। অভিযোগ করা হয়, রাষ্ট্রসংঘের তালিকাভুক্ত ২০টির বেশী জঙ্গি সংগঠনকে আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে ওরা। সন্ত্রাসবাদে পাক যোগের এই বিষয়টিকে কোনওভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। এর আগেও পাকভূম থেকে পরিচালিত একাধিক জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে রাষ্ট্রসংঘে প্রস্তাব পেশ করেছে ভারত। যদিও বারবার পাকিস্তানের সহায় হয়ে উঠেছে চিন। উদাহরণস্বরূপ ২৬/১১ হামলার পর মূল ষড়যন্ত্রী সাজিদ মীরকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত। তবে সে প্রস্তাব আটকে দেয় চিন।