স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ মে। ইউক্রেইন আক্রমণকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার খনিজ তেল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), রুশ জ্বালানির সবচেয়ে বড় ক্রেতা জার্মানিও এতে সমর্থন দিচ্ছে।এতে কয়েকদিনের মধ্যেই মস্কো বড় ধরনের একটি রাজস্ব প্রবাহ থেকে বঞ্চিত হতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউরোপীয় কমিশন চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউয়ের নিষেধাজ্ঞার ষষ্ঠ দফা প্যাকেজ প্রস্তাব করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, এর মধ্যে রাশিয়ার তেল কেনার ওপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞাও থাকছে।ইউরোপে জ্বালানি রপ্তানি করে রাশিয়া প্রতিদিন কোটি কোটি ইউরো আয় করছে যা ক্রেমলিনের যুদ্ধ প্রচেষ্টায় তহবিল যোগাচ্ছে বলে অভিযোগ ইউক্রেইনের। রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানি এখনও অনেকাংশেই আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতা মুক্ত আছে। নিজের রাত্রিকালীন ভিডিও বক্তৃতায় ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, “এই প্যাকেজে জ্বালানি সম্পদ থেকে রাশিয়ার রাজস্ব আয় বন্ধের পরিষ্কার পদক্ষেপ থাকা উচিত।”
সোমবার জার্মানি জানিয়েছে, রাশিয়ার তেলের ওপর ইইউয়ের আশু নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে তারা।জার্মানির অর্থনীতিমন্ত্রী রবার্ট হাবেক জানিয়েছেন, তারা এমন একটা পরিস্থিতিতে পৌঁছতে পেরেছেন যেখানে জার্মানি তেল নিষেধাজ্ঞার প্রভাব সামাল দিতে পারবে। রাশিয়ার তেল আমদানি বিষয়ে একটি দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ক্রমবর্ধমান চাপে ছিলেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেইনকে সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্য পশ্চিমা নেতাদের চেয়ে তিনি অনেক বেশি সতর্ক। এই শলৎসই প্রত্যয় জানিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেইনের সঙ্গে কিয়েভ সমর্থন করতে পারে এমন একটি শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর না করা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেওয়া হবে না।
তবে রাশিয়ার গ্যাসের ওপর ইউরোপের নির্ভরতা হ্রাসের চেয়ে দেশটির তেলের ওপর নির্ভরতা বন্ধ করা অনেকটা সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।ইউরোপকে সরবরাহ করা গ্যাসের মূল্য রুবলে পরিশোধ করতে বলেছে মস্কো, কিন্তু ইইউ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এর জেরে গত সপ্তাহে মস্কো বুলগেরিয়া ও পোল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। গ্যাসের মূল্য রুবলে পরিশোধের মস্কোর দাবি নিয়ে সোমবার বৈঠক করেছে ইইউয়ের মন্ত্রীরা। ওই বৈঠক থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, গ্যাসের মূল্য রুবলে পরিশোধের মস্কোর দাবি ইইউয়ের চলতি নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন হতে পারে।বুধবার ইইউভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা এক বৈঠকে মিলিত হবেন, সেখানে রাশিয়ার তেলের ওপর প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তাদের আলোচনা করার কথা রয়েছে।