স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১১ মার্চ : ভিসা-সহ বৈধ অনুমতিপত্র থাকা সত্ত্বেও আমেরিকায় ঢুকতে পারলেন না পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত! সূত্রের খবর, তুর্কমেনিস্তানে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত কেকে আহসান ওয়াগানকে আটকে দেওয়া হয় লস অ্যাঞ্জেলস বিমানবন্দরে। তাঁকে আমেরিকায় ঢুকতে না দিয়ে সটান ফেরত পাঠানো হয় পাকিস্তানে। কেন এমন আচরণ, সেই নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি আমেরিকার তরফে।
ঠিক কী ঘটেছে পাক রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে? সূত্রের খবর, তুর্কমেনিস্তানে নিযুক্ত আহসান ছুটি কাটাতে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। বৈধ ভিসা এবং আমেরিকায় প্রবেশের যাবতীয় নথিপত্র ছিল তাঁর সঙ্গে। কিন্তু লস অ্যাঞ্জেলস বিমানবন্দরে নামতেই আহসানকে আটকান মার্কিন অভিবাসন আধিকারিকরা। বিমানবন্দর থেকেই তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়। কেন এমন সিদ্ধান্ত, সেই নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি মার্কিন প্রশাসনের তরফে। উল্লেখ্য, কূটনীতিক হিসাবে লস অ্যাঞ্জেলসেও কর্মরত ছিলেন আহসান। সেখানকার পাক কনসুলেটের কনসাল জেনারেল ছিলেন তিনি।
আহসানকে ফেরত পাঠানো নিয়ে অবশ্য মুখ খুলেছে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আহসানের ভিসায় কিছু সমস্যা ছিল বলে দাবি মার্কিন অভিবাসন দপ্তরের। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার এবং সচিব আমিনা বালোচকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলসে অবস্থিত পাক কনসুলেটকেও বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পাক বিদেশমন্ত্রক। প্রাথমিকভাব অনুমান, লস অ্যাঞ্জেলসে আহসানের কার্যকাল নিয়ে কিছু অভিযোগ ছিল। তার জেরেই আটকানো হয়েছে। তবে আহসানকে ইসলামাবাদে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পাক বিদেশমন্ত্রক।
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে শোনা গিয়েছিল ‘সন্ত্রাসের কারখানা’ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপের পথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাক নাগরিকদের জন্য আমেরিকার দরজা চিরতরে বন্ধ করতে চলেছেন তিনি। পাকিস্তানের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তারপরেই আটকে দেওয়া হল পাক রাষ্ট্রদূতকে।