স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০৪ মার্চ : ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর এবং মণিপুর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধানের। এই ঘটনায় পালটা তোপ দাগল ভারত। মানবাধিকার কমিশনের প্রধান ভলকার তুর্কের মন্তব্যকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘অবাস্তব’ বলে উল্লেখ করলেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত অরিন্দম বাগচি। রাষ্ট্রসংঘকে রীতিমতো আয়না দেখিয়ে বাগচি জানালেন, অবাঞ্ছিত কিছু ঘটনাকে হাতিয়ার করে তার সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।.
জেনেভার ৫৮ তম অধিবেশনে মানবাধিকার সংক্রান্ত বৈশ্বিক তালিকায় ভারতের মণিপুর এবং জম্মু ও কাশ্মীরের কথা উল্লেখ করেছিলেন তুর্ক। যার অর্থ হল, বিশ্বতালিকায় অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি ভারতের এই দুই অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের এই অপমানের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন অরিন্দম বাগচি। তিনি জানান, “বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারত। সুস্থ, প্রাণবন্ত এবং বহুত্ববাদী সমাজের অন্যতম উদাহরণ এই দেশ। এখানকার নাগরিকদের শক্তি ও উদারতা আরও ভালোভাবে বোঝা উচিত সকলের। ভারত সম্পর্কে এমন মন্তব্য এর আগেও করা হয়েছে। তবে প্রতিবার তা ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে।”
একইসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর প্রসঙ্গে বাগচি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রেকর্ড হারে মানুষ সেখানে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। পর্যটন ক্ষেত্রের উন্নতির পাশাপাশি ব্যাপকহারে আর্থিক উন্নয়ন চলেছে। সেই সময় রাষ্ট্রসংঘের মতো দায়িত্বশীল আন্তর্জাতিক মঞ্চের এমন মন্তব্য কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পাশাপাশি মণিপুর প্রসঙ্গে বলেন, মণিপুরের অশান্ত অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের তরফে সমস্ত রকম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়াও চলছে। একইসঙ্গে জানান, রাষ্ট্রসংঘের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলির দেশের আভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলি বোঝার ক্ষেত্রে আরও সংবেদনশীল হওয়া উচিত।
তবে কাশ্মীর ও মণিপুরের মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সংখ্যালঘু নির্যাতন ও সন্ত্রাসবাদের জনক হিসেবে পরিচিত পাকিস্তান নিয়ে একটি মন্তব্যও করতে দেখা যায়নি তুর্ককে। পাকিস্তানের প্রতি তুর্কের এই ‘ভালবাসা’ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে। যদিও গাজা, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান নিয়েও এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে রাষ্ট্রসংঘকে।